দৌড়াদৌড়ির জীবনে ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধ থেকে শিশুদের মধ্যে বেড়ে গেছে। বেশিরভাগ বাচ্চারা পিৎজা, বার্গার, ম্যাগি, চাউমিন এবং কোল্ড্রিংসের মতো ফাস্ট ফুড খেতে বা পান করতে পছন্দ করে।
এসব খাবার শিশুদের স্বাস্থ্য এবং বিশেষ করে দাঁতের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। শিশুদের দাঁতের যত্ন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন তা চলুন জেনে নেই
ফাস্ট ফুড খাওয়ার অসুবিধা: বেশিরভাগ অভিভাবকই মনে করেন, সকাল-সন্ধ্যা নিয়মিত ব্রাশ করলে শিশুর দাঁত সুস্থ থাকবে। এ জন্য আরও অনেক বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে ডায়েট।
আজকাল দ্রুতগতির জীবনে খাবার দ্রুত হয়ে গেছে। শিশুরা ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুড খেতে বেশি পছন্দ করে। সেই সাথে পিৎজা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বাচ্চাদের কাছে খুবই বিখ্যাত।
কেক, কুকিজ এবং চকলেট মিষ্টিতে তার প্রিয় জিনিস। এসব জিনিস তাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি দাঁতের জন্যও ক্ষতিকর। এ ধরনের খাবার শুধু তাদের দুধের দাঁতই নষ্ট করে না বরং স্থায়ী দাঁতের ওপরও প্রভাব ফেলে।
সঠিক সময়ে দুধের দাঁত আসে না: অভিভাবকরা অভিযোগ করেন যে তাদের শিশুর দুধের দাঁত পড়চ্ছে না বা নতুন দাঁত ঠিকমতো আসছে না।
এমন অভিযোগে শিশুদের ডায়েট সম্পর্কে জানতে চাইলে জানা যায়, শিশুরা বেশি জাঙ্ক ফুড খায়। আসলে দুধের দাঁত না ভাঙার কারণ জাঙ্ক ফুড। এই জাতীয় খাবার খুব নরম, যা দাঁত ভাঙতে বাধ্য করে না।
এমতাবস্থায়, অভিভাবকদের পরামর্শ হল শিশুদের কাঁচা এবং আস্ত ফল এবং শাকসব্জি খাওয়ার জন্য কঠিন জিনিস দেওয়া। এই জিনিসগুলো খেলে দাঁতে চাপ পড়ে এবং সঠিক সময়ে ভেঙে যায় এবং সঠিক সময়ে নতুন দাঁত বের হয়।
দাঁত: অনেকসময় দেখা বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হয়। জাঙ্ক ফুডও এর একটা বড় কারণ। এ ধরনের খাবারে লবণ ও চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যার কারণে তা খুব সহজেই দাঁতে লেগে থাকে।
দীর্ঘক্ষণ দাঁতে লেগে থাকার কারণে তা মুখের ব্যাকটেরিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়। ব্যাকটেরিয়া শুধু এই খাবার হজম করে না, অ্যাসিডও তৈরি করে, যা দাঁতের ক্ষয় ঘটায়।
ডাক্তারি ভাষায় একে ডেন্টাল ক্যারেজ বলা হয়। এ ধরনের সমস্যা হলে শিশুদের যে কোনও কিছু খাওয়ার পর অবশ্যই মুখকুলি করতে হবে। অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানদের মধ্যে প্রথম থেকেই এই অভ্যাসটি গড়ে তোলা।
দুবার ব্রাশ করা : অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানদের দিনে দুবার ব্রাশ করতে উৎসাহিত করা। সঠিক ব্রাশিং কৌশল শেখাতে ভুলবেন না।
যদি জাঙ্ক ফুড খেতেই হয় তাহলে তারপর এমন খাবার খেতে হবে যা দাঁতে লেগে না থাকে যেমন স্যালাড ও ফল। এছাড়া নিয়মিত দাঁত পরীক্ষা করানো উচিৎ।
No comments:
Post a Comment