বাস্তুর কথা উঠলে, বাড়িটি কোন দিকে মুখ করে আছে, ব্যক্তি সেটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। এই মুখটি বাস্তুতে গুরুত্বপূর্ণ, তবে আজ আমরা সেই বিষয় সম্পর্কে কথা বলতে যাচ্ছি যেই বিষয় টি লোকেরা প্রায়শই এড়িয়ে যায়। টয়লেট সঠিক জায়গায় না হলে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। তবে জেনে নিন, বাস্তু অনুসারে কোথায় টয়লেট করা উচিৎ
১. পূর্ব দিকে পায়খানা হলে তা দৃষ্টিকে দুর্বল করে। চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধেরও ক্ষতি হয়। প্রকৃতপক্ষে, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য পেট পরিষ্কার থাকা সবচেয়ে জরুরি। তাই বাস্তুর প্রাচীন গ্রন্থে শৌচাগারের অবস্থান নির্ণয় করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে। মল নিঃসরণ যেমন জরুরী তেমনি খাবার খাওয়াও জরুরী।
২. সঠিক জায়গায় টয়লেটের অভাব পরিবারের অনেক সমস্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে কাজের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে তা সঠিক জায়গায় হতে হবে। এর মধ্যে ভুল থেকেই সব সমস্যার সৃষ্টি হয়। পূর্ব দিকে টয়লেট থাকলে দৃষ্টিশক্তির প্রতিবন্ধকতা হয়। চোখ দুর্বল হয়ে পড়ে। চারিত্রিক ত্রুটি এবং নৈতিক মূল্যবোধের ক্ষতি। এখানে শৌচাগার থাকলে জ্ঞানের উন্মেষ ঘটে, যা জীবনে অজ্ঞতা ও অন্ধকার বাড়ায়। প্রতিপত্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং ঘৃণা বাড়তে থাকে, তাই বাথরুম পূর্ব দিকে হওয়া উচিত, তবে টয়লেট একেবারেই উচিত নয়। এখানে বাস্তু পুরুষের মাথা।
৩. উত্তর-পূর্বে শৌচাগার থাকলে সেই পরিবারের ভাষা, খাবার ও বুদ্ধি নষ্ট হয়। দেবতারা ক্রুদ্ধ থাকেন। মনে ভয় ও অশান্তি বিরাজ করছে। উত্তর-পূর্বের টয়লেট নেটওয়ার্ককে দুর্বল করে দেয়, এতে ব্যক্তির যত যোগাযোগই থাকুক না কেন, সময় এলে তারা কাজ করে না। এছাড়াও, মন কাজে নিযুক্ত থাকে না, ব্যক্তি কিছু ভাবে এবং অন্য কিছু করে। এ ছাড়া শিশুদের নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়। উত্তর-পূর্ব শৌচাগার শিশুর আগমনে বাধা সৃষ্টি করে, সন্তান জন্ম নিলেও রোগ তাড়া ছাড়ে না। পেট সংক্রান্ত রোগ ঘরে থাকে, ঘরের পানিও দূষিত থাকে অর্থাৎ জলজনিত রোগ হতে পারে।
৪. ব্রহ্মস্থানে শৌচাগার থাকলে তার মানে বাস্তু পুরুষের নাভি প্রাণ বায়ু পাচ্ছে না। দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে এ ধরনের বাড়িতে বসবাসকারীদের অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়। উত্তর দিকে শৌচাগার থাকলেও দারিদ্রতা দেয়। অর্থ কখনও যোগ হয় না এবং যে অর্থ জমা হয় তাও অকেজো কাজে ব্যয় হয়। দেখা গেছে পরিশ্রম করে এমন ঘরের মানুষ খুব কম পায়।
No comments:
Post a Comment