বাচপন কা পেয়ার' গানের মূল নায়ক সহদেবের এক্সিডেন্ট

'বাচপন কা পেয়ার' গানটি নিয়ে ভাইরাল হওয়া সহদেব দির্দো সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।  ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন সহদেব।

  পথের এক জায়গায় ব্যালাস্ট ও বালি পড়ে ছিল, সেখানে বাইক চালানো বাবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।  বাইকটি পিছলে যায়। এতে মাথায় পড়ে গুরুতর আহত হন সহদেব।

  ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে সুকমার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।  সহদেবের মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে।

 

মন্ত্রী ডেকেছেন, কালেক্টর, এসপি অবস্থা জানতে পৌঁছেছিলেন সঙ্গে সঙ্গে।

 রাজ্যের আবগারি ও শিল্পমন্ত্রী কাওয়াসি লখমা দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুকমা কালেক্টরকে সহদেবের সর্বোত্তম চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

 জগদলপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন কাওয়াসি লখমা।  নিউরোলজিস্টের সঙ্গে কথা বলার পর সহদেবকে জগদলপুরে রেফার করা হয়েছে। 

খবরে বলা হয়েছে, সুকমা জেলার এসপি সুনীল শর্মা এবং কালেক্টর বিনীত বন্দনওয়ারও সহদেবের অবস্থা জানতে জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন।

 গায়ক-র‌্যাপার বাদশা টুইট করেছেন, সহদেবের চোটের তথ্য নিতে গিয়ে বলেন, “আমি সহদেবের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছি।  এই মুহূর্তে সে অচেতন।  তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  আমি সহদেবের পাশে আছি।" সাধারণ জনতার উদ্দেশ্য জানান সহদেবের জন্য প্রার্থনা করতে। যাতে সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

 সহদেবের পরিচিতি :  ২০১৯ সালে, সহদেবকে তার শিক্ষক একটি গান গাইতে বলেছিলেন।  সহদেব গান গাইতে শুরু করলে শিক্ষক তা রেকর্ড করেন।

  আর সেই ভিডিও তুলে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।  এরপর র‌্যাপার বাদশা এই গানের ভিডিও করে ইনস্টাগ্রামে রেখে দেন।  তারপর থেকে গানটি আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

 যার জেরে রাতারাতি পাল্টে যায় সহদেবের ভাগ্য।  সহদেবের সেই ভিডিও এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।  তার গান লাইভ শুনেছেন এবং তার অনেক প্রশংসা করেছেন। 

র‌্যাপার বাদশাও আনুষ্ঠানিকভাবে সহদেবের সঙ্গে 'বাচপন কা পেয়ার' গানটি প্রকাশ করেছেন।  যার মিউজিক ভিডিওতে সহদেবের সঙ্গে ছিলেন বাদশা।

 বাদশা ও সহদেব 'জানে মেরি জানেমন.. বাচপান কা প্যায়ার' ২০১৮ সালে গুজরাটের একজন উপজাতীয় লোক গায়ক কমলেশ বারোট দ্বারা রচিত হয়েছিল।

এই গানের একমাত্র গায়ক কমলেশ। গানের কথা লিখেছেন লেখক পিপি।  ময়ূর নাদিয়ার সঙ্গীতায়োজন করেছেন বড়িয়া।