ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার কারণে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং এটি অনেক গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। এটি শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। রক্তে বেশি মাত্রায় শর্করার সমস্যার দীর্ঘদিন ধরে চিকিত্সা না করা হলে, এটি স্নায়ু এবং শরীরের অঙ্গগুলির ক্ষতি করতে শুরু করে।
টাইপ 1 এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস উভয় ক্ষেত্রেই আপনি কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখতে পাবেন, যা ভুল করেও উপেক্ষা করবেন না। এতে অনেক ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই লক্ষণ বঝায় যে, আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি।
ডায়াবেটিসের সমস্যায় রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকায় শরীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না। এমন অবস্থায় যখন রোগজীবাণু শরীরে প্রবেশ করে তখন তা শরীরে দ্রুত নিজেদের বাড়াতে থাকে এবং মারাত্মক সংক্রমণের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ডায়াবেটিসের মতন রোগ যদি সময়মতো ধরা না পড়ে এবং সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করা হয়, তাহলে তা থেকে ক্রমাগত অনেক ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। এ কারণে মূত্রাশয়, কিডনি, মাড়ি, পা ও ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে তিন ধরনের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়-
ছত্রাক সংক্রমণ
থ্রাশ এক ধরনের ইস্ট ইনফেকশন। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। আঙ্গুল, মুখ এবং যৌনাঙ্গে এই সমস্যা হতে পারে। ছত্রাক সংক্রমণের কারণে এই রোগ হয়।
মূত্রনালীর সংক্রমণ
ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যেও সিস্টাইটিস হয়। এতে মূত্রাশয়ে প্রদাহ হয়। এটি এক ধরনের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। এই কারণে, আপনি প্রস্রাব করতে অসুবিধা অনুভব করবেন। এছাড়াও তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
পায়ের সংক্রমণ
ডায়াবেটিসের কারণেও আপনার পায়ে ইনফেকশন হতে পারে। এটি টিস্যু এবং হাড়কে প্রভাবিত করে। একটি গবেষণা অনুসারে, ডায়াবেটিস মেলিটাসের 15 থেকে 25% রোগীর পায়ের আলসারের সমস্যা দেখা দেয়। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এই সমস্যা মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এ জন্য সময়মতো ওষুধ খাওয়া এবং খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধির যত্ন নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment