ঠান্ডা এসে গেছে। শীত শুরু হলে জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলা সমস্যাও বেড়ে যায়। যারা উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের শীতকালে আরও সমস্যায় পড়তে হয়।
ইউরিক অ্যাসিড হল এক ধরণের রাসায়নিক, যা রক্তে পিউরিন নামক প্রোটিনের ভাঙ্গনের ফলে তৈরি হয়। যদিও বেশিরভাগ ইউরিক অ্যাসিড কিডনি দ্বারা ফিল্টার করার পরে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, কিন্তু যখন শরীরে এর পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন তা স্ফটিক আকারে ভেঙে হাড়ের মধ্যে জমা হতে শুরু করে, যার কারণে গাউট বা আর্থ্রাইটিস হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,এই সমস্যায় খাবারের মাত্রা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। তাই উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এমন অনেক খাবার রয়েছে যা গাউট রোগীরা শীতের মরসুমে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, যা ফোলা ও শক্ত হওয়ার সমস্যা দূর করতে পারে।
কমলা:
শীতকালে কমলা সহজেই পাওয়া যায়। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য কমলা খুবই উপকারী । কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। তাই উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের ঠান্ডার সময় নিয়মিত কমলা খাওয়া উচিত।
আমলা:
কমলার মতো আমলায়ও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। এ ছাড়া আমলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায়। ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ আমলা নিয়মিত খেলে শুধু ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না, অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
চেরি:
ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা তাদের খাদ্যতালিকায় চেরি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কারণ চেরিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে হওয়া ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমায়।
গ্রিন টি:
শীতকালে নিয়মিত গ্রিন টি পান করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কারণ এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
নারকেলের জল:
নারকেলের জল বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কার্যকর বলে মনে করা হয়। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের প্রতিদিন সকালে নারকেলের জল খাওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment