ওরাল হাইজিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মুখের ভিতরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এখান থেকে আপনার শরীরের ভিতরে যেতে পারে, যা আপনার লিভার, কিডনি এবং পাকস্থলীকেও সংক্রমিত করতে পারে। সেজন্য মুখের স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। আপনি যদি আপনার মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন না নেন তবে আপনি দাঁতের ক্যাভিটিস, প্লাক, জিনজিভাইটিস এবং দাঁত ব্যথার অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারেন।
দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি মাউথওয়াশ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও যত্ন নিতে হবে। আজকাল, বাজারের মাউথওয়াশে প্রচুর রাসায়নিক রয়েছে। এগুলি এড়াতে আপনি সহজেই বাড়িতে মাউথওয়াশ তৈরি করতে পারেন। এখানে কিছু পদ্ধতি জানানো হল, যার সাহায্যে আপনি সহজেই মাউথওয়াশ তৈরি করতে পারেন।
লবণ জল:
আপনি নিশ্চয়ই ডেন্টিস্ট এবং আপনার বাড়ির বড়োদের কাছ থেকে এই মাউথওয়াশের কথা শুনেছেন। গরম জলে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুলি করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায়।
নারকেল তেল:
নারকেল তেল দাঁতের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতার জন্য খুবই উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চামচ ভার্জিন নারকেল তেল মুখে নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট মুখে নাড়তে থাকুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন এবং ব্রাশ করুন।
বেকিং সোডা:
বেকিং সোডা শুধু রান্নার জন্যই উপকারী নয় বরং আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য একটি গ্লাসে হালকা গরম জল নিয়ে তাতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন আর তা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ব্রাশ করার পর ব্যবহার করুন।
এসেনশিয়াল অয়েল:
এসেনশিয়াল অয়েল অনেক ভাবে ব্যবহার করা হয়। লবঙ্গ এবং দারুচিনি তেল মুখ ধোয়ার জন্য খুবই উপকারী। এটি দাঁতের ক্যাভিটিস দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য আধা গ্লাস হালকা গরম জলে এক ফোঁটা লবঙ্গ তেল এবং এক ফোঁটা দারুচিনি তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটি একটি বোতলে ভরে রাখুন এবং প্রয়োজনে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন।
No comments:
Post a Comment