অবশেষে জল্পনার অবসান। রাজনীতির আঙিনায় দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর রবিবার নিজের ঘর অর্থাৎ তৃণমূলে ফিরেছেন প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল শিবিরে যোগ দেন তিনি। তবে এই যোগদান পর্বটি বাংলার পরিবর্তে ত্রিপুরায় হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। যদিও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার জবাব দিয়েছেন। এদিকে, রবিবার অফিসিয়াল যোগদানের আগে সকালেই প্রাক্তন তৃণমূলের ফেসবুক পেজের রঙ এবং আরও অনেক কিছু বদলে গেছে।
তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি রঙ নিয়ে ভাবি না। আমি সব ধরনের পোশাক পরি। আজ সবুজ পড়ার মানে এই নয় যে আমি টিএমসিতে ফিরে যাচ্ছি।” রাজ্যের মাটিতে নয়, বিদেশী রাজ্যের মাটিতে তৃণমূলের ঘরে ফিরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, "আমাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে তিনি আমার হাতে হাত দেবেন, তাই ত্রিপুরায় আসুন। তৃণমূল এখন সর্বভারতীয় দল। তাই ত্রিপুরায় যোগ দিলে আমার আপত্তি কিসের।"
এদিকে, রবিবার সকালে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পেজটি বদলে যায় যেখান থেকে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক এবং মন্ত্রী একদিন ফেসবুকে তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ফেসবুকে কভার ফটো বদল করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তার একটি ছবি রয়েছে এবং তাতে লেখা আছে ‘মানুষের সাথে মানুষের পাশে।’ আবার রবিবার সকালে দেখা গেল তার কভার পেজের ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙও বদলে গেছে। হালকা কমলা থেকে রং নীল। এছাড়া তার ফেসবুক প্রোফাইলে বিজেপির সভা বা নেতাদের কোনও ছবি দেখা যায়নি। তার ফেসবুক প্রোফাইলে শুধুমাত্র বীর সাভারকারের ছবি পাওয়া গেছে।
২ মে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। বিজেপি ছাড়ার আগেও তিনি একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন। বিজেপি নেতৃত্ব এবং শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া। এছাড়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতে দেখা গেছে তাকে। এরপর থেকেই গুঞ্জন উঠছিল প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরও সম্ভবত রাগ থেকে এক মাস আগে কেন্দ্রীয় কমিটিতে একটি পদ দিয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে রাখার জন্য। কিন্তু পদ পাওয়ার পরেও তিনি যে বিজেপিতে আর থাকবেন না তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। আর তাকে এই পদ দেওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল।
No comments:
Post a Comment