প্রাণনাশের হুমকি পেলেন কঙ্গনা!

অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত, যিনি প্রায়শই তার বক্তৃতার জন্য খবরের শিরোনামে থাকেন, এবার তাকেই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল। ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ পোস্ট লিখে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।

কঙ্গনা জানিয়েছেন, যারা তাকে হুমকি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তিনি সোনিয়া গান্ধীকেও চিঠি লিখেছেন, যে তিনি তার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবিলম্বে নির্দেশ দিন। উল্লেখ্য, কঙ্গনা মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, এই পোস্টের পরই তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

কঙ্গনা তার পোস্টে লিখেছেন যে, 'মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদদের স্মরণ করে আমি লিখেছিলাম যে বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করবেন না বা ভুলে যাবেন না। এ ধরনের ঘটনায় দেশের অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসঘাতকদের হাত রয়েছে। দেশদ্রোহীরা কখনও অর্থের লোভে, কখনও পদ ও ক্ষমতার লোভে ভারত মাতাকে কলঙ্কিত করার একটি সুযোগও ছাড়েনি, জয়চাঁদ ও দেশের অভ্যন্তরে দেশদ্রোহীরা ষড়যন্ত্র করে দেশবিরোধী শক্তিকে সাহায্য করতে থাকে, তখনই এমন ঘটনা ঘটে।'

'আমার এই পোস্টে আমি প্রতিনিয়ত বিঘ্নকারী শক্তির কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছি। ভাটিন্ডার এক ভাই প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। আমি এই ধরনের হুমকিতে ভয় পাই না। যারা দেশ ও সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি এবং সবসময় বলব। তারা  নিরীহ জওয়ানদের হত্যা করা নকশাল হোক, বা  আশির দশকে পাঞ্জাবে গুরুদের পবিত্র ভূমি কেটে খালিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখছে এমন টুকড়ে টুকড়ে দল বা সন্ত্রাসবাদীরাই হোক না কেন।'

'গণতন্ত্র আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি, সরকার যে কোনও দলেরই হোক, কিন্তু নাগরিকদের অখণ্ডতা, ঐক্য ও মৌলিক অধিকার রক্ষার মৌলিক অধিকার এবং মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার আমাদের দেওয়া হয়েছে বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানে। আমি কোন জাতি, ধর্ম বা গোষ্ঠী সম্পর্কে অবমাননাকর বা বিদ্বেষপূর্ণ কিছু বলিনি।'

  

কঙ্গনা আরও লিখেছেন যে, 'আমি কংগ্রেস সভানেত্রী শ্রীমতি সোনিয়া জিকেও মনে করিয়ে দিতে চাই যে আপনিও একজন মহিলা, আপনার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী জি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্তহাতে লড়াই করেছেন। অনুগ্রহ করে আপনার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ধরনের সন্ত্রাসী, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং দেশবিরোধী শক্তির হুমকির বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিন।'

  

'আমি হুমকির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছি। আমি আশা করি পাঞ্জাব সরকারও শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবে। দেশ আমার কাছে সর্বাগ্রে, এর জন্য আমাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হলেও আমি রাজি, তবে আমি ভীত নই, কখনও ভয় পাব না, দেশের স্বার্থে বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে খোলাখুলি কথা বলতে থাকব।'