পূর্ব মেদিনীপুর: একদিন বাদেই কালী পুজো। চারিদিকে চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি পর্ব। একই ব্যস্ততা দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও। জেলার অতি পুরাতন পুজো হিসেবে কোলাঘাটের বড়িশা গ্রামের মুখার্জি পরিবারের কালী পুজো বিশেষ স্থান পেয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচশো বছর ধরে রীতি মেনে হয়ে আসছে এই কালী পুজো।
কথিত আছে প্রায় পাঁচশো বছর আগে ওই মন্দির স্থানে একটি নীল অপরাজিতা ফুল পরে। এরপর স্বপ্নের মধ্য দিয়ে এই পুজো হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে এই পুজো দু'ভাগ হয়ে গিয়েছে। প্রাচীন এই মন্দিরে সমাগম হয় আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে গ্রামের বহু মানুষ।
বাড়ির এক সদস্য জানান, প্রথমে তাদের তাল পাতার ছাউনি দিয়ে মন্দির তৈরি করা ছিল। এরপর ধীরে ধীরে আর্থিক সহযোগিতায় পাকা মন্দির তৈরি হয়। পুজোর দিন পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি রীতি মেনে পুজো দিতে আসেন গ্রামের বহু মানুষ। বিতরণ করা হয় প্রসাদ।
কথিত আছে মায়ের পুজোর জন্য যে সব বাসনপত্রের প্রয়োজন তা পাওয়া যেত মা এরই সহযোগিতায়, জানা গিয়েছে একটি কাগজে সেই সব বাসনপত্রের তালিকা তৈরি করে গ্রামেরই এক পুকুরের পাশে রেখে দিলে সেখান থেকেই পাওয়া যেত বাসনপত্র। যদিও কোন এক কারণে বর্তমানে সেটি বন্ধ। এটাও কথিত আছে কোন ব্যক্তি যদি মন দিয়ে কিছু প্রার্থনা করে তার প্রার্থনা পূর্ণ হয়। এমনই বিশ্বাস গ্রামবাসী থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের।
আরও এক অবিশ্বাস্য বিষয়, কোন অবিবাহিত মহিলা নিজের হাতে মালা গেঁথে পুজো দিলে তার বিয়ের পাশাপাশি মনের কামনা পূর্ণ হয়, এমনই জানান পরিবারের সদস্যরা পুজোর পাশাপাশি বিসর্জনেও একই ভাবে ভিড় লক্ষ্য করা যায় মন্দির প্রাঙ্গণে।
No comments:
Post a Comment