জয় শূন্য হতেই বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের, ফাঁস করলেন দলের সিক্রেট

জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সহ চিঠি লিখে বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দলে তিনি অবহেলিত করা হচ্ছে এবং বিজেপি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এককথায়, রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন এক সময়ের টলিউড অভিনেতা। আর জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ছাড়ার ঘোষণার পরেই, প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় সমন্বয়ের অভাবের দিকে ইঙ্গিত করেন। প্রসঙ্গত, রাহুল সিনহার মাধ্যমে বিজেপিতে যোগ দেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই প্রেক্ষাপটে, রাহুল সিনহা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্তের জন্য দলের নেতৃত্বের একাংশের নিন্দা করেছেন। শনিবার দলের রাজ্য সদর দফতরে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহুল সিনহা দাবী করেন যে, জয়ের সাথে দলের যোগাযোগের অভাব রয়েছে। শুধু জেতার বিষয় নয়, এ কারণে দল থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন অনেকেই। অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। তাদের সঙ্গে দলের যোগাযোগের অভাব রয়েছে। 

রাহুল সিনহা বলেন, "আমি জয়কে দলে নিয়ে এসেছি। কিন্তু তার সাথে দলের যতটা সম্পর্ক থাকা দরকার, তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য যতটা দরকার আমরা করতে পারিনি। রাজনৈতিক হতাশা আছে, শারীরিক হতাশা আছে, আর্থিক হতাশা আছে, পরিবারেও হতাশা আছে। কিন্তু এসব ইস্যুতে দল তার পাশে দাঁড়ায়নি। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকলেও দলের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল দুর্বল। আর একা মানুষকে বিভ্রান্ত করার লোকের অভাব নেই।" 

প্রসঙ্গক্রমে, ২০১৬ সালে, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি তাকে সরিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করে। সেই রাজীব অবশ্য সম্প্রতি তৃণমূলে ফিরেছেন। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কয়েকদিন আগে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে, জয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার চিঠিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

এই প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা আরও বলেছেন, “আমি দেখিয়েছি যে, অফিসে না থেকেও দলের কাজ করা যায়। যারা পদের জন্য দল ত্যাগ করেন, তারা লোভী ছাড়া আর কিছুই নয়। লোভকে নিয়ন্ত্রণ করাই জীবনের শিল্প। আশা করি জয় দল ছাড়বেন না।” 

রাহুল সিনহা জয়ের পাশে দাঁড়ালেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা দাবী, 'তিনি (জয় বন্দ্যোপাধ্যায়) অসুস্থ ছিলেন, দলের রাজ্য দফতরেও আসেননি, আমি রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর থেকে তাঁর কোনও ফোন বা চিঠি পাইনি। যদি অসন্তোষ থাকে, রাজ্য নেতৃত্বকে উচিৎ আগে জানানো। তিনি আমাকে কিছু জানায়নি। "