এমন একটি জিনিস রয়েছে যা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রত্যেককে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেটা হল দুধ। এটি শিশুদের পাশাপাশি সবার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম দুধে পাওয়া যায়। এছাড়া দুধে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ত্বককে নরম করে। দুধ খেলে শরীরে সেরোটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যার ফলে মন খুব শান্ত থাকে।
দুই বছরের শিশুরাও দুধের সাথেই খাবার খেতে শুরু করে। একটি জরিপে দেখা গেছে, ২-৩ বছরের শিশুদের চার কাপ এবং ৪-৮ বছরের শিশুদের প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ কাপ দুধ পান করা উচিত। এছাড়াও, নয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের দৈনিক তিন কাপ দুধ দিন। কিন্তু যেসব শিশুর উচ্চ ক্যালোরির প্রয়োজন, তাদের জন্য দুধের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
অতিরিক্ত ক্যালোরি কমানোর নামে শিশুদের দুধের পরিমাণ না কমিয়ে, কম চর্বিযুক্ত দুধ দিন। এটি ওজন বাড়ায় না এবং হাড় মজবুত করে। এর সাথে শক্তিও পাওয়া যায়।
কোন সময়ে দুধ পান করলে কি প্রভাব পড়বে:
সকালে দুধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি হজম করতে সমস্যা হতে পারে।
দুপুরে দুধ পান করলে বয়স্করা শরীরে শক্তি পায়।
সন্ধ্যায় দুধ পান করলে চোখে ভালো প্রভাব পড়ে।
রাতে দুধ পান করা উত্তম বলে মনে করা হয়, কারণ এটি শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং ভালো ঘুম দেয়।
দুধ পান করার সময় খেয়াল রাখুন:
যাদের হজমশক্তি দুর্বল, কফ, পেটে কৃমি এবং সারাক্ষণ পেট খারাপ থাকে, তাদের অতিরিক্ত দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আপনি যদি ঠান্ডা দুধ পান করেন, অতিরিক্ত দুধ পান করেন বা সঠিক খাবারের সাথে দুধ পান না করেন তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
যাদের ল্যাক্টোজে অসহিষ্ণুতা আছে তাদের দুধ পান করা উচিত নয়।
দুধ কখনই খাবারের সাথে গ্রহণ করা উচিত নয় কারণ এটি সহজে হজম হয় না। এটি সর্বদা আলাদাভাবে গরম করে পান করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment