এলাচের প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে যা মুখের ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক। এলাচ বাড়তে থাকা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। গরম জল দিয়ে এলাচ খেলে রাতে ভালো ঘুম হবে।
এলাচ একটি চমৎকার মাউথ ফ্রেশনার, যা রান্নায় এবং বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিতে ব্যবহৃত হয়। এলাচ ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ একটি মশলা যা অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কার্বোহাইড্রেট, ডায়েটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস প্রধানত এলাচে থাকে যা সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
এলাচের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক। ক্রমবর্ধমান ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে এলাচ খান।
গরম জলের সাথে এলাচ খেলে রাতে ভালো ঘুম হবে এবং নাক ডাকার সমস্যাও দূর হবে। আসুন জেনে নিই এলাচ কীভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
এলাচের উপকারিতা -
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ এলাচ ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধের গুণাবলী:
এলাচের মধ্যেও ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার গুণ রয়েছে। টিউমার দূর করার গুণও রয়েছে এলাচের।
সর্দি-কাশি এবং গলা ব্যথা উপশম করে:
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন লোকেরা প্রায়ই আবহাওয়া পরিবর্তন হলে সর্দি-কাশির শিকার হন। ঠাণ্ডা লাগলে গলা ব্যথা হয়। এলাচ খেলে কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কাশি এবং সর্দি নিরাময়ের জন্য সবচেয়ে বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এলাচ চূর্ণ রয়েছে।
হজমশক্তি ভালো রাখে:
এলাচ পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। কেউ কেউ খাওয়ার পর এলাচ চিবিয়ে খান, যা পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখে।
দুশ্চিন্তা দূর করে:
বিষণ্ণতা দূর করতেও এলাচ ব্যবহার করা হয়। বিষণ্ণতা দূর করতে এলাচ জলে ফুটিয়ে পান করতে হবে। দুশ্চিন্তা বেশি হলে দিনে ২-৩ বার এলাচ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment