'আজ এক সাদা চুল, সাদা দাড়িকে দেখলাম, হাজার কৃষক মরার পর যার ঘুম ভাঙল, ক্ষমা চাইল!' তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাম না নিয়েই এই কটাক্ষ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে টেনে এনেছেন ২০০৬ সালে রাজ্যে রাজ্যে ঘটে যাওয়া সিঙ্গর আন্দোলের প্রসঙ্গও এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও নাম না নিয়ে জমি চোর বলে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন দেবাংশু।
শুক্রবার গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় তিনি গত এক বছর ধরে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আজ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে দেশবাসীর কাছে বলতে চাই, আমাদের তপস্যায় নিশ্চয়ই কোনও না কোনও ঘাটতি ছিল। তিনি বলেন, কিছু কৃষক ভাইদের বোঝাতে পারেননি। আজ গুরু নানক দেবের পবিত্র উৎসব। এটা কাউকে দোষারোপ করার সময় নয়। আজ সারাদেশকে জানাতে এসেছি যে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
তিনি এও বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু করবেন। সেই সঙ্গে প্রকাশ পর্বে আন্দোলনে বসে থাকা মানুষকে ঘরে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এর পরেই কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এই বিষয়ে। এই ঘোষণাকে কৃষকদের জয় আখ্যা দিয়েছেন অনেকেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কৃষকদের শুভেচ্ছে জানিয়েছে। ট্যুইটে তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক কৃষককে অভিনন্দন, যারা অবিরাম লড়াই করেছেন। বিজেপি আপনাদের সাথে যে নির্মম আচরণ করেছে তাতে আপনারা বিচলিত হননি। এটি আপনাদের বিজয়।' মমতা আরও বলেছেন যে, 'এই লড়াইয়ে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। তাদের সকলের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।'
তবে এই বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দেবাংশু আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তাঁর পেজ থেকে করা একটি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এক জমিচোর সাদা চুল, সাদা দাড়ি ২০০৬ সালে জমি চুরি করেছিল, কৃষক মেরেছিল.. তারপর ক্ষমা চেয়েছিল! আজ আরেক সাদা চুল, সাদা দাড়িকে দেখলাম, হাজার কৃষক মরার পর যার ঘুম ভাঙল, ক্ষমা চাইল! আসলে কৃষকের মার, কেওড়াতলা পার! ২৩৫ বা ৩০৩, কোনও অহংকারকেই বেশিদিন টিকতে দেয়নি।'
প্রসঙ্গত, কালা কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকরা দিল্লী সীমান্তে আন্দোলন করে চলেছেন। এই সময় সাত শতাধিক কৃষক শহীদ হন।
No comments:
Post a Comment