প্রায়শই ফল এবং শাকসবজি ব্যবহার করি তাদের বীজ সরিয়ে ফেলে দেই। কিন্তু জানেন কি ফল ও সব্জির বীজও পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর। এগুলো খাওয়া আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। ফল ও সব্জির বীজ ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ওমেগা ফ্যাটি 3 অ্যাসিডের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। আসুন জেনে নিই এগুলোর স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
আম: এর গুঁড়ির মধ্যে পাওয়া বীজ পেট সংক্রান্ত রোগ নিরাময় করে। এছাড়াও এটি ডায়রিয়া, পাইলস এবং মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত প্রতিরোধ করে।
ব্যবহার: বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো তৈরি করুন। সকাল-সন্ধ্যা এক থেকে দেড় চা-চামচ জলের সাথে খান। কিন্তু যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত।
তেঁতুল: এর বীজ শক্তিশালী, যা সাদা স্রাব এবং মাসিকের অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যায়ও উপকারী।
ব্যবহার: বীজ পিষে গুঁড়ো তৈরি করুন এবং সকাল-সন্ধ্যা জলের সাথে ৩-৫গ্রাম গুঁড়ো খান। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ব্যবহার করবেন না।
কাঁঠাল: এর বীজ পুষ্টিকর এবং ওজন বাড়াতে সহায়ক।
ব্যবহারঃ ৫-৬টি বীজ রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খান। দুধের সাথেও খেতে পারেন। যাদের খিদে কম লাগে বা বদহজমের অভিযোগ আছে তাদের ব্যবহার করা উচিৎ নয় কারণ এগুলো ভারী।
তরমুজ: এর বীজ শীতল ও পুষ্টিকর। এটি দুর্বল মানুষ এবং কম ওজনের গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী।
ব্যবহারঃ এই বীজের খোসা ছাড়িয়ে দুই চামচ জল বা দুধের সাথে নিন। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সেবন করবেন না।
তরমুজ: যাদের প্রস্রাব কমে যাওয়া বা জ্বালাপোড়ার অভিযোগ আছে তাদের জন্য এর বীজ খুবই উপকারী। এই বীজগুলি কিডনি রোগীদেরও উপকার করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: খোসা ছাড়িয়ে দুই চামচ জল ও দুধ দিয়ে খেতে পারেন। এটি মিষ্টি বা স্ন্যাকসে বাদাম হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। যাদের ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হয়, তারা সেবন করবেন না।
No comments:
Post a Comment