'সুব্রত দা'র মরদেহ দেখতে পারব না': মমতা

'আমি অনেক দুর্যোগ দেখেছি, কিন্তু সুব্রত দা'র মৃত্যু আমার কাছে অনেক অনেক বড় দুর্যোগ।' পঞ্চায়েত মন্ত্রীর প্রয়াণে প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাত ৯.২২ নাগাদ এসএসকেএমে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর পেতেই বাড়ির পুজো ছেড়ে হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে শোকাতুর মমতা। 

তিনি বলেন, 'সুব্রত দা'র মতন মানুষ, এত হাসিখুশি মানুষ, এত কর্মঠ এবং পার্টি অন্ত প্রাণ, কন্টিনেন্সি অন্ত প্রাণ আর হবে কিনা সন্দেহ আছে। আমি গোয়া থেকে ফিরেই হাসপাতালে আসি। সেদিনও আমার সাথে কথা হল, বলল জেলায় জেলায় যাব আবার।আজ সন্ধ্যেবেলায়ও শুনলাম ভালো আছে, কাল ছুটি দিয়ে দেবে, কালই বাড়ি চলে যাবে। তার মধ্যেই হঠাৎ করে বিরাট হার্ট অ্যাটাক। অনেক চেষ্টা করেও ডাক্তাররা বাঁচাতে পারলেন না। আলোর দিনে এত বড় অন্ধকার। ওনার মরদেহ দেখতে পারব না।' 

মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দলের সকল নেতা কর্মী প্রিয় নেতার মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'রাজনৈতিক জীবনের গুরুর জীবনাবসান হল। ওনাকে দেখেই রাজনীতিতে নাম লেখাই।' 

দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিজেপি, কংগ্রেস বাম নেতারাও শোক প্রকাশ করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রীর প্রয়াণে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাজনৈতিক মহীরুহের পতন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখতেন যাঁরা, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। বাংলার রাজনীতির অপূরনীয় ক্ষতি হল। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।' ট্যুইটে শোক বার্তা জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। 

কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সকলেই শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সকলেই বাকরুদ্ধ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জীবনে। মন্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। 

মন্ত্রীর প্রিয় ক্লাব এভার গ্রিন ক্লাবেও শোকের আবহ। ষাটের দশকের তিন সতীর্থর মধ্যে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি ও সৌমেন মিত্র আগেই চলে যান। আর কালী পুজোর দিন চলে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।  বলাই যায়, রাজনৈতিক দুনিয়ার এক সোনালী যুগের শেষ হল এদিন।