অলিভ অয়েল একটি অত্যন্ত উপকারী তেল যাতে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, আয়রন, ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য অনেক উপকারী পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আমরা খাবারেও অলিভ অয়েল ব্যবহার করি এবং কিছু মানুষ ওষুধের জন্যও অলিভ অয়েল ব্যবহার করে। এছাড়াও, আমরা বিভিন্ন উপায়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করি, যেমন- ঘরোয়া প্রতিকার, বিউটি টিপস, হেলথ টিপস ইত্যাদি।
অলিভ অয়েলের উপকারিতা:-
অলিভ অয়েল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুব উপকারী। কারণ অলিভ অয়েলে চিনি নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।
অলিভ অয়েলের সাহায্যে আপনি খুব সহজেই ত্বকের ট্যানিংয়ের সমস্যা দূর করতে পারেন। রোদে ট্যানিংয়ের জন্য অলিভ অয়েল দিয়ে প্রতিদিন ম্যাসাজ করলে ত্বক ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
যদি আপনার চুল শুষ্ক এবং প্রাণহীন হয়, তবে চুল ধোয়ার প্রায় ১-২ ঘন্টা আগে অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে আপনার চুল নরম, সিল্কি এবং ঘন হবে।
ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় হালকা হাতে চোখের চারপাশে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ডার্ক সার্কেল সেরে যায়।
শীত ঋতু শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে, তাই শুষ্ক ত্বক এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল শীতকালে হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করার পর পুরো শরীরে অলিভ অয়েল লাগানো। যাতে সারাদিন সুস্থ থাকবেন ও ত্বক থাকবে কোমল।
অলিভ অয়েল ওজন কমাতেও খুব উপকারী। আপনি যদি সত্যিই ওজন কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে। খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ক্ষিদে কমে যায়। আর মিষ্টি খেতেও ভালো লাগে না, যার ফলে আপনার ওজন নিজে থেকেই কমা শুরু হয়।
মা হওয়ার পর মহিলাদের পেট ও কোমরে স্ট্রেচ মার্ক আসে, অলিভ অয়েল আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়, এর জন্য আপনি সকাল-সন্ধ্যা অলিভ অয়েল দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন, মাত্র ২০-২৫ দিনের মধ্যেই এর প্রভাব দেখতে শুরু করবেন।
যদি আপনার কালো ত্বক এবং কালো কনুইয়ের সমস্যা থাকে তবে অলিভ অয়েলের সাথে চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন পাঁচ মিনিট স্ক্রাব করুন। এটি করলে আপনি দ্রুত উপকার পাবেন।
লেবুর রসে অলিভ অয়েল মিশিয়ে সপ্তাহে তিনবার মুখে ম্যাসাজ করলে আপনি বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment