বাবুল সুপ্রিয় ইতিমধ্যেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এবং তারপর থেকে পুরনো দলটি বিজেপির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার আক্রমণ বাড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি ও তাদের নেতাদের কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিজেপিকে কাঁকড়ার দল বলতেও দ্বিধা করেননি তিনি। আর তৃণমূলের কাছে বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছেন।
সেই বাবুল সুপ্রিয়ো চার বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নতুন দল তৃণমূলের জয়ে যতটা উচ্ছ্বসিত, ততটাই উচ্ছ্বসিত বিজেপিকে আক্রমণ শানাতে। তিনি এও ইঙ্গিত দেন যে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পতন ঘটতে চলেছে। মঙ্গলবার শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা এবং খড়দা উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে৷ শান্তিপুর ছাড়াও বাকি তিনটি কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল রাজস্থান, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি এবং হিমাচল প্রদেশের উপনির্বাচনের জন্যও জোর দিয়েছে। তার পরেই একযোগে হামলা চালায় তৃণমূল নেতারা। তাদের দলে যোগ দেন বাবুলও।
ট্যুইটারে বাবুল লিখেছেন, "বাংলার উপনির্বাচনে দুর্দান্ত জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিনন্দন। আর বিজেপি তাদের প্রাপ্য পেয়েছে। আমরা দেখব তৃণমূল স্তরের অনুগতদের পিঠে ছুরিকাঘাত করা এবং খারাপ আচরণ করা জনতা বিরোধী দলের অযোগ্য নেতারা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কতগুলি আসনে জিততে পারে৷" উল্লেখ্য, দলে থাকাকালীনও, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের সাথে বাবুলের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ছিল৷ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।
বাবুল মঙ্গলবার ট্যুইটারে আরও লিখেছেন, "যে বিজেপি তার নিজস্ব নিবেদিত কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, হয়রানি করেছে এবং ছুরিকাঘাত করেছে, সেই বিজেপি ভারতের নাগরিকদের জন্য কতটা ভালো করতে পারে। দলের জন্য ঘাম ও রক্ত দিয়েছেন দলের কর্মীরা। এক নজরে দেখে নিন বিজেপির কতজন সিনিয়র নেতা এখন দলের তীব্র বিরোধী।"
প্রসঙ্গত, বাবুল সুপ্রিয়ো তার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ হারিয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি আর রাজনীতির জগতে থাকবেন না। তিনি আরও বলেন, তার একটাই দল, একটাই বিশ্বাস, তাই তিনি বিশ্বাসী হতে চায়। কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের সেই ঘোষণা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বিজেপি ছেড়ে সরাসরি অভিষেক ব্যানার্জির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি এবং তারপর থেকে, বিজেপির সবচেয়ে স্পষ্টবাদী সমালোচকদের একজন হয়ে উঠেছেন তাদেরই দলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ো।
No comments:
Post a Comment