ভগবানপুরে মহম্মদপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি নেতাকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অবশেষে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ভগবানপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক তাপস দলপতি। তার বাড়ি ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর গ্রামে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে কাঁথি আদালতে আপিল করেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ। রবিবার মৃত বিজেপি কর্মী চন্দন মাইতির স্ত্রী লক্ষ্মীরানী মাইতি এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা সহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমন অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে ভগবানপুর থানার পুলিশ। সোমবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বাড়ি থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে।
ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন " অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে হেফাজতে চাওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। "
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোররাতে শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ চন্দন মাইতি ওরফে শম্ভুকে বাড়ি সামনে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা। এরপর তারা ভগবানপুরে দেঁড়িয়া দিঘী প্রয়াত নান্টু প্রধানের কলেজের সামনে নদীর পাড়ে বেধড়ক মারধর করে। পরিবারের লোকেরা ও বিজেপি কর্মীরা ভগবানপুর থানায় পুলিশকে বিষয়টি জানায়। গভীর রাতে ভগবানপুর থানার পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত জখম ওই বিজেপি কর্মীর নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর চিকিৎসার জন্য ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ওই বিজেপি কর্মীর চন্দন মাইতি (৩৭) তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
ভগবানপুরে তৃণমূল নেতা অভিজিৎ দাস বলেন " আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করুক। বিজেপি বেছে বেছে তৃনমূল নেতা ও সরকারী চাকুরি জীবি নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। "
ভগবানপুরে বিজেপি নেতা দেবব্রত কর বলেন " মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সান্তনা দিতে চাইছে। বাকী অভিয়ুক্তকে ধরতে হবে। তারা এখন সমাজে সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে "।
No comments:
Post a Comment