অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ হতে পারে এই সাধারণ অভ্যাসগুলিও - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 1 November 2021

অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ হতে পারে এই সাধারণ অভ্যাসগুলিও





 মহিলাদের পিরিয়ড প্রতি মাসে তাদের প্রজনন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনে।  এতে তাদের গর্ভধারণের ক্ষমতা বাড়ে।  ১২-১৬ বছর বয়সে পিরিয়ড শুরু হয় এবং মেনোপজে আসে অর্থাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিনের একটি চক্রে আসে।  কিন্তু সময়ের আগে বা পরে যখনই পিরিয়ড আসে, তা অনিয়মিত মাসিকের ইঙ্গিত দেয়।


 মহিলাদের শরীরের প্রধান ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোন।  যে ব্যাঘাতে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়।  খাদ্যাভ্যাস, দুর্বল জীবনযাপনও এর প্রধান কারণ।  মানসিক চাপও বিশিষ্ট, যা ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।  অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমও ঠিক নয়।  ডাক্তারি মতামত নিন।


 লক্ষণ: যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও দুর্গন্ধযুক্ত জল। অনিয়মিত মাসিকের কারণে মাথাব্যথার অভিযোগ। মানসিক চাপ, খিটখিটে এবং খিদে কমে যাওয়া। হাতে-পায়ে ব্যথার সঙ্গে শক্ত হয়ে যাওয়া সেই সঙ্গে ক্লান্ত বোধ করা। গলা বারবার শুষ্ক হওয়ার পাশাপাশি এটিও গলা ব্যথার লক্ষণ।


 সুরক্ষা পদ্ধতি: মহিলাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।  স্বাস্থ্যবিধির জন্য অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক ব্যবহার করবেন না।  খাবারে পুষ্টিকর জিনিস খান। 


প্রচুর জল ও বাটার মিল্ক পান করুন, এটি হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।  শরীরকে শিথিল করুন, মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন।  চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।  PCOD এবং হাইপোথাইরয়েডিজমের সময়মত চিকিৎসা নিন।


 হরমোন থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।  যদি কোনো ধরনের হরমোন ডিজঅর্ডারের কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়, তাহলে প্রথমে সমস্যাটির চিকিৎসা করা হয়।  থাইরয়েড, PCOD ইত্যাদির মতো রুটিন পরিবর্তন ছাড়াও রোগীকে খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি করতে বলা হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad