হাড় দুর্বল হওয়ার নানাবিধ কারণ

 

আজকাল খাদ্যাভ্যাসে অসাবধানতার কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়, যার ফলে হাড়ের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীর সুস্থ রাখতে বয়স অনুযায়ী খাবার খাওয়া উচিৎ। জানলে অবাক হবেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সী ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাড় মজবুত থাকে।

 ৩৫ বছর বয়সের পর হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয়, যা হাড় ও দাঁতের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

 বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে থাকে।  পুরুষ, মহিলা বা শিশু যাই হোক না কেন, হাড়ের বিকাশের জন্যও ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।  ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণও পূরণ করতে হবে। 

ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম পরিবহনে কাজ করে।  শরীরে ক্যালসিয়াম সঠিকভাবে বজায় রাখতে হলে কিছু অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে হবে।  অসাবধান হলে শরীরে আক্রান্ত হতে পারে নানা মারাত্মক রোগ।

 হাড় মজবুত করতে চাইলে এসব অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন। সেগুলি হল 

কার্বনেটেড খাওয়া কমিয়ে দিন: হাড় মজবুত করার জন্য আপনার কার্বনেটেড পানীয় যেমন   শ্যাম্পেন খাওয়া উচিৎ নয়।  এটি হাড়কে প্রভাবিত করে।  কার্বনেটেড পানীয়তে ফসফেট বেশি থাকে যা ক্যালসিয়াম কমায়।

সীমিত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করুন: হাড় শক্তিশালী করতে, প্রোটিন গ্রহণ সীমিত করা উচিৎ ।  অত্যধিক প্রোটিন গ্রহণ করলে অ্যাসিডিটি হয় এবং ক্যালসিয়াম পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যেতে পারে।  অত্যধিক প্রোটিন হাড়ের ক্ষতি করে।

অ্যাসিডিটি ওষুধ কম খান: অ্যাসিডিটির ওষুধ খাওয়ার কারণে শরীরে ক্যালসিয়াম কম থাকলেও অ্যাসিড তৈরি হয়।  ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ শোষণের জন্য পেটের অ্যাসিড অপরিহার্য।

ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন: হাড় মজবুত করতে ক্যাফেইন এড়িয়ে চলতে হবে।  যারা ক্যাফেইন খান তাদের ক্যালসিয়াম বেশি প্রয়োজন।  এটি আপনার হাড়কে প্রভাবিত করে।

ভিটামিন ডি গ্রহণ:  ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড়ের মধ্যে পরিবহন করতে সাহায্য করে।  হাড় মজবুত করতে ক্যালসিয়ামের সাথে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান।  এতে হাড় মজবুত হয়।

 হরমোনের যত্ন: বয়সের সাথে সাথে হরমোন অনেক পরিবর্তিত হয়। ৫০-এর বেশি  বয়সের নারী ও পুরুষদের মধ্যে হরমোন পরিবর্তিত হয়।  এমন অবস্থায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি শুরু হয়।  হাড় সুস্থ রাখতে শরীরের ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টেরন প্রয়োজন।

 মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন: আপনি যদি হাড় মজবুত রাখতে চান, তাহলে খুব বেশি মানসিক চাপে পড়বেন না।  এটি হাড়ের ক্ষতি করতে পারে, স্ট্রেস কর্টিসল হরমোনের বৃদ্ধিকে ট্রিগার করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে।