কেউ কেউ ঘুমের সময় বকবক করে। বকবক করার এই অভ্যাসটি রোগের লক্ষণ। এই রোগটি অনেক কারণে হয়, সবচেয়ে বড় কারণ হল মানসিক চাপ, বিষণ্নতা, ঘুমের অভাব এবং ভুল জীবনযাপন।
ঘুমের ব্যাধির কারণে, ঘুম সম্পূর্ণ হয় না এবং সারাদিন ক্লান্ত থাকা হয়। এই সমস্যা সারা বিশ্বে সাধারণ হয়ে উঠছে। হেলথলাইন ডটকমের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সাত ঘণ্টার কম ঘুম ঘুমোয় এবং ৭০ শতাংশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৮ ঘণ্টার কম ঘুম ঘুমোয় ।
অসময়ে তন্দ্রা, ক্লান্তি, একাগ্রতার অভাব, বিরক্তি ইত্যাদিকে ঘুমের ব্যাধির নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে দেখা হয়। মানুষের কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব দেখা যায়।
উপসর্গ: যদি আমরা এর লক্ষণগুলির কথা বলি তবে এর লক্ষণগুলি হল নিদ্রাহীনতা, সারাদিনের ক্লান্তি, অদ্ভুত শ্বাসকষ্ট, ঘুমানোর সময় বকবক করা, অস্থিরতা, কর্মক্ষেত্রে কাজ প্রভাবিত করা, একাগ্রতার অভাব, হতাশা এবং হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া। যদি এই লক্ষণগুলি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে থাকে তবে এটি উপেক্ষা করা উচিৎ নয় এবং অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ।
চিকিৎসা: চিকিৎসা ও চিকিৎসকের পরামর্শে ঘুমের ধরণে উন্নতি সম্ভব। এছাড়াও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে ঘুমের ধরনও ঠিক করা যায়। আমরা যদি জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কথা বলি, তাহলে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
মিষ্টি কম খান এবং যতটা সম্ভব খাদ্যতালিকায় মাছ ও সবুজ শাকসব্জি অন্তর্ভুক্ত করুন। জীবনে ব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
ঘুমানোর আগে জল কম পান করা দরকার।ক্যাফেইনের পরিমাণ কমাতে হবে। অ্যালকোহল এবং তামাক সেবন এড়াতে হবে। রাতের খাবারে কম কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শোওয়ার সময় এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় ঠিক করতে হবে।
No comments:
Post a Comment