বিয়ে আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের বাবা-মা থেকে আমরা নিজেরাই বিয়ের কথা ভাবি। প্রথমে লেখাপড়া, তারপর চাকরি এবং তার পর একটা নির্দিষ্ট বয়সে মানুষ বিবাহের পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়। যেখানে আগে শুধু পরিবারের সদস্যরাই বিয়ের জন্য ছেলেমেয়েদের বিয়ে ঠিক করতেন, এখন ছেলেমেয়েরাও তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করে, যাকে আমরা প্রেমের বিয়ে বলে জানি।
প্রথম ছেলে মেয়ের দেখা হয় এবং দুজনেই একে অপরের কাছাকাছি আসে এবং প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। এরপর পরিবারের সদস্যদের এই সম্পর্কের কথা জানিয়ে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। কিন্তু অনেক সময় এমনও দেখা যায় যে প্রেমের বিয়ের পর সম্পর্ক যাতে ভালোভাবে চলতে পারে সেজন্য মানুষকে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। আপনিও যদি প্রেমের বিয়ে করতে যাচ্ছেন, তাহলে চলুন আপনাকে কিছু জিনিস বলি যা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।
সম্পর্ক বজায় রাখতে শিখুন:বিয়ের পর ছেলে মেয়ে উভয়েরই অনেক সম্পর্ক যুক্ত হয়, কিন্তু অনেকেই এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বা বোঝা মনে করতে থাকেন। কিন্তু প্রেমের বিয়ের পর এই সম্পর্কগুলো বজায় রাখতে হবে। সবাইকে সম্মান করুন, সবার কথা শুনুন, আপনার মনে যা আছে তা বলুন, তাদের সাথে সময় কাটান ইত্যাদি। এতে করে এই সম্পর্কগুলো বজায় রাখা যায়।
ধৈর্য প্রয়োজন:আপনি যখন প্রেমের বিয়ে করেন, অনেক সময় আপনার সম্পর্কের মধ্যে অনেক সমস্যা আসতে পারে। কখনও কখনও স্বামী বা শাশুড়ির সঙ্গে কোনো বিষয়ে বিবাদ হতে পারে। তবে আপনি যদি চান, একটু ধৈর্য ধরে, আপনি এই সম্পর্কটিকে ভালভাবে এগিয়ে নিতে পারেন। তাই সবকিছুতেই ধৈর্য ধরুন।
প্রথাকে সম্মান করুন: যখন একটি ছেলে এবং একটি ভিন্ন ধর্মের একটি মেয়ে প্রেমের বিয়ে করে, তখন তাদের রীতিনীতি একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই তাদের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার এই কাজটি অন্যদের খারাপ মনে করতে পারে। তাই তাদের সম্মান করে রীতিনীতি মেনে চলতে শিখুন।
বোঝাপড়া করতে হবে:কখনও কখনও বিয়েতে এমনকি দর কষাকষি করতে হয়। সমঝোতার অর্থ এই নয় যে আপনার স্বামী বা অন্য লোকেরা আপনাকে নিপীড়ন করে এবং আপনি নীরবে সহ্য করবেন। বরং এর মানে হল আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পরিস্থিতি বুঝেই কাজ করুন।
No comments:
Post a Comment