ধোঁয়া পরিবেশ দূষণের একটি বড়ো উৎস। ধোঁয়ার সংস্পর্শে এলে হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকেদের সমস্যা হতে পারে। আতশবাজি থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের বা যারা এটির সংস্পর্শে এসেছেন তাদের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। দীপাবলিতে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় ফুসফুস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে কিছু বিষয়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন যাতে শ্বাসকষ্টের রোগ এড়ানো যায়।
আসুন জেনেনেই এই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি কি কি-
ঘরে প্রদীপ ও মোমবাতি রাখলে দূষণ ছড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে ঘরের দূষণ এড়াতে ইনডোর প্লান্টের সাহায্য নিন। বাড়ির ভিতরে আরও বেশি করে ইনডোর প্ল্যান্ট লাগান এবং দূষণ কমিয়ে দিন। ঘরে এলইডি লাইট ব্যবহার করুন।
দীপাবলির পরে যারা বাইরে যাবেন তাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরলে শুধু ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না, দূষণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে সহজেই।
বাইরের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হলে ঘরের মধ্যেই থাকুন। ঘরের ভিতরে ফ্যান চালু রাখুন যাতে সঠিক পরিমাণে বাতাস পাওয়া যায় এবং ঘরের ভিতরে তাজা বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
বাড়ির ভিতরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এয়ার পিউরিফায়ার অভ্যন্তরীণ বাতাস থেকে দূষণকারী টক্সিন এবং অ্যালার্জেন ফিল্টার করে।
শ্বাসযন্ত্রের রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের তাদের জরুরি ওষুধ, নেবুলাইজার এবং অন্যান্য মেডিকেল কিটগুলি হাতের সামনে রাখা উচিত। সময়মতো ওষুধ খেতে থাকুন।
আপনি যদি হাঁপানির রোগী হন বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে ভুগছেন, তবে অবশ্যই আপনার সাথে একটি রেসকিউ ইনহেলার রাখুন।
প্রচুর ফল ও শাকসবজি সমন্বিত পুষ্টিকর খাবার খান। এটি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।
হাইড্রেটেড থাকতে এবং হাইপার অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করতে প্রচুর জল পান করুন।
ক্রমাগত কাশি বা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন যে কেউ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সংস্পর্শে আসা এড়িয়ে চলুন।
No comments:
Post a Comment