মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, দক্ষিণ আফ্রিকায় জঙ্গল সাফারির সময় মলত্যাগ করতে গিয়ে এক বিদেশী পর্যটককে একটি কোবরা কামড় দেয়। এই কোবরা এতটাই বিষাক্ত ছিল যে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এবং পর্যটকের জীবন বাঁচাতে তার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলতে হয়। চিকিৎসকরা জানান, বিষের কারণে রোগীর যৌনাঙ্গ পচে গেছে। কাটা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিষাক্ত সাপের কামড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মারা যায়।
প্রকৃতি সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করার সময়, এক পর্যটক বনে নির্মিত একটি টয়লেট ব্যবহার করতে যান। এ সময় কমোডের ভেতরে উপস্থিত বিষাক্ত কোবরা পর্যটকের যৌনাঙ্গে কামড় দেয়। চিৎকারে জঙ্গল সাফারির গার্ড ও অন্যান্য কর্মীরা সাহায্য করতে ছুটে আসেন।
তিনি অবিলম্বে নিকটস্থ হাসপাতালে পর্যটককে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারের অনুরোধ জানান। তবে এ সময় পর্যটককে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নিকটতম হাসপাতালের দূরত্ব ছিল ৩৫০ কিলোমিটার। সাপের কামড়ের পর, পর্যটক তার যৌনাঙ্গে জ্বলন্ত সংবেদন অনুভব করেন, কিছুক্ষণের মধ্যে এটি ফুলে যায় এবং পুরো অংশটি নীল হয়ে যায়। ধীরে ধীরে পর্যটকের যৌনাঙ্গ ও আশেপাশের অংশের মাংস গলে যেতে থাকে।
ইউরোলজি কেস রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে বলেছে যে এটি নিজের যৌনাঙ্গে একটি বিষধর সাপের কামড়ের একটি খুব বিরল ঘটনা। এর আগেও শরীরের পেছনের অংশে সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটেছে। পর্যটকটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু যৌনাঙ্গের টিস্যুকে পচনশীল এবং অন্যান্য অংশে বিষ ছড়ানো থেকে রোধ করতে তাকে কেটে ফেলতে হয়েছিল।
নয় দিন চিকিৎসার পর ওই পর্যটককে নেদারল্যান্ডসে ফেরত পাঠানো হয়। যেখানে ডাক্তাররা তার কুঁচকি থেকে সরানো টিস্যুর সাহায্যে তার কালশিটে টিস্যু পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। ডাক্তাররা এই টিস্যুর সাহায্যে ওই ব্যক্তির যৌনাঙ্গের অনেক মেরামত করেছেন ।
No comments:
Post a Comment