হাইকোর্ট ও রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনেই চলতি বছর কালীপুজোয় মাততে চলেছেন হুগলির পান্ডুয়া। পুলিশ ও পান্ডুয়া কেন্দ্রীয় কালীপুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুইশো কালী পুজো হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির অধিনে ৪৬টা কালীপুজো হয়।
পান্ডুয়ার প্রগতি সংঘেরর কালীপুজো এবছর ৬৫বছরে পদার্পন করল। এবছর তারা ইসকন মন্দিরের আদলে মণ্ডল তৈরি করেছেন। পাশাপাশি অভিনব প্রতিমা তৈরি করে দর্শকদের চমক দিতে চলেছেন। দর্শনার্থী এই মণ্ডল স্যামিটাইজার টেনেলের মাধ্যমে প্রবেশ করবেন। মণ্ডপে প্রবেশ করার পর দর্শনার্থীদের অভিভূত হয়ে যাবেন।
পুজোর সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, আমাদের পুজোয় দর্শনার্থীদের প্রবেশ করার জন্যে সরকারি সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে। পুজোর বাজেট ছয় লক্ষ টাকা। পান্ডুয়া জাগরণী সংঘ বোসপাড়া খাদের পাড় কালীপুজো কমিটির এবছর দশ বছরে পদার্পন করল।
পুজোর থিম রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প। পুজোর উদ্যোক্তা তন্ময় সরকার বলেন, আমাদের রাজ্যে সরকারি প্রকল্প গুলি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর একটি মূর্তি তৈরি করে সরকারি প্রকল্প গুলোকে দর্শনার্থীদের দেখাবো। তন্ময় বাবু বলেন, আমাদের পুজোয় এবার দর্শনার্থীদের ঢ্ল নামবে। পুজোর বাজেট দেড় লক্ষ টাকা।
পান্ডুয়া কাকলিতলা ব্যাবসায়ী সমিতির কালীপুজো প্যান্ডেলে লাইটের মাধ্যেমে আলো আধারির খেলা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তা ভোলা সাহা। তিনি বলেন, এবার তাদের পুজোর বাজেট চার লক্ষ টাকা।
পান্ডুয়া নিরদগড় সবুজ সংঘের কালী পুজো চলতি বছর সত্তর বছরে পদার্পন করে পুজোর থিম মৎস পুরি। পুজোর উদ্যোক্তা সানু চক্রবর্তী বলেন, এই পুজো মণ্ডল প্রবেশ করে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন দুইজন মৎস কন্যা দ্বার রক্ষ্যা করছে। আরও কিছুটা প্রবেশ করে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন জলের মধ্যে বিভিন্ন রকমের মাছ খেলা করছে। সেখানে জেলিফিস থেকে শুরু করে একাধিক জলজ প্রানীও থাকবে।
সব শেষে মায়ের দেখা মিলবে। মণ্ডপে দেবী কালীকা মাছেদের রক্ষ্যা করে ধ্যানে বসে আছেন। পুজোর বাজেট সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
পান্ডুয়া কালীপুজো সেন্ট্রাল কমিটির সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, পান্ডুয়ায় সেন্ট্রাল কমিটির অধিনে ৪৬টা কালীপুজো হচ্ছে।
করোনা মহামারির কারনে চলতি বছর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে পান্ডুয়ায় কালীপুজোর শোভাযাত্রাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পান্ডুয়ায় সুষ্ঠ ভাবে কালীপুজো করার জন্যে সেন্ট্রাল কমিটির তরফে বারোয়ারী গুলিকে মাস্ক ও সেনিটাইজার দেওয়া হবে। চারদিন প্রতিমা থাকবে।
পুলিশ জানয়েছে, ডিজে বক্স বাজানো যাবেনা। ডিজে বাজলে পুলিশ কমিটির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত পান্ডুয়ার জিটি রোডে নো-এন্ট্রি থাকবে।
No comments:
Post a Comment