নতুন মা হওয়া অনেক মহিলাই দুধের অভাবের অভিযোগ করেন। মায়ের দুধ শিশুদের জন্য প্রথম ভিত্তি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, শিশুর জন্মের পর ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়া আর কিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।
এটি শিশুদের জন্য পুষ্টির প্রথম উৎস। প্রোল্যাক্টিন এবং অক্সিটোসিন হরমোনের কারণে মায়ের শরীরে দুধ তৈরি হয়, যা শিশুদের পুষ্টি জোগায়। প্রত্যেক মাকে তার শিশুকে দিনে ৮ থেকে ১০ বার বুকের দুধ খাওয়াতে হয়।
কিন্তু অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ তৈরি হয় না। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু জিনিস আছে যা পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ হয়ে থাকে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব জিনিসের কথা যা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের দুধ তৈরি হবে।
দুধ বৃদ্ধিকারী খাবার: নতুন মায়েদের পান করার জন্য জিরের বীজ উপকারী। প্রসবের পাঁচ থেকে ছয় দিন পর গুড়, জিরে ও শুকনো ফল একসঙ্গে মিশিয়ে সদ্য প্রসূতি মাকে দেওয়া হয়। জিরে দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে।
রসুন: যেসব মায়েদের দুধ প্রবাহে সমস্যা হয়, তাদের রসুন খাওয়া উচিৎ। এক কুঁড়ি রসুন কুচি করে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। এতে দুধের প্রবাহ দ্রুত হয়। রসুন খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট পর বাদামও খেতে হবে।
ওটস : দুধ বাড়াতে ওটস এবং আস্ত শস্য খুবই উপকারী। এদের মধ্যে বিটা গ্লুকোন পাওয়া যায়, যা প্রোল্যাক্টিন হরমোন বাড়ায়, যা দুধের উৎপাদন বাড়ায়।
তিল ভাজা : তিল ভাজা এবং মৌরি খাওয়া দুধ বাড়াতেও সহায়ক।
কুমড়ো : কুমড়ো বা কুমড়ো শেক হল দুধ বাড়ানোর সহজ উপায়। দুধ, গাজর, ভ্যানিলা, দারুচিনি, জায়ফল, আদা, মধু ইত্যাদি মিশিয়ে শেক তৈরি করা হয়। এটি খেলে দুধ দ্রুত তৈরি হতে থাকে। একে বলা হয় পাম্পকিন স্পাইক ল্যাক্টেশন শেক। নারকেলের দুধ, আম, গাজর, দারুচিনি এবং মধু কুমড়োর সাথে মেশানো হয়।
No comments:
Post a Comment