প্রদীপ ভট্টাচার্য : কেশুতি পাতা, এক ধরনের গুল্ম জাতীয় গাছের পাতা এটি। বাগান, রাস্তার ধার, পুকুর ও নদীর পাড় এবং বিভিন্ন জলা জায়গায় বেশী দেখা যায় এই গাছ। এর আরও অনেক নাম আছে। যেমন; কালোকেশী, কেউতি, কালসাতা ইত্যাদি। তবে চুলের যত্নে সবচেয়ে বেশি কাজ দেয় বলে এর সর্বাধিক জনপ্রিয় নাম কেশরাজ। প্রাচীনকাল থেকেই এই পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। চুল ঘন, কালো,মজবুত ও উজ্জ্বল করতে এবং অকালপক্বতা ও চুল পড়া দূর করতে এই পাতার জুড়ি মেলা ভার।
আপনি বিভিন্ন ভাবে এই পাতার ব্যবহার করতে পারেন।
কেশুতি গাছের পাতা বেটে রস করে সরাসরি চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে, তারপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিতে পারেন।
এছাড়া কেশুতি পাতার টনিক তৈরি করতে পারেন। এর জন্য আপনি সমান মাপের তিলের তেল ও নারকেল তেল মেশান।তারপর এই পাতা বেটে তার রস মেশান। এর মধ্যে একটা আমলকী, একটা জবাফুল, একটু কারি পাতা ও মেথি মেশান। এবার ভালো করে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিয়ে কোনো পাত্রে রেখে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে একবার করে করলে চুল ঘন, লম্বা ও কালো হবে। এবং চুল পড়াও বন্ধ হবে। উকুনের সমস্যা দূর করতেও এটি খুব কাজে আসে।
এছাড়া কেশুতি পাতার মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য কেশুতি পাতা বেটে তার মধ্যে মেথি গুঁড়ো, ডিমের কুসুম, টক দই, নারকেল তেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন ও সপ্তাহে একবার করে লাগান। এটি আপনার অকালপক্বতা দূর করতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আপনি কেশুতি পাতা বেটে রস করে তার সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। তারপর এর সাথে দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেশান। এবার এই মিশ্রনটি চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে, ভালো করে চুল বেঁধে রাতে শুয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। এতে আপনার চুল হবে ঘন, কালো, চকচকে ও মসৃণ। এছাড়া এতে আপনার নতুন চুলও গজাবে।
তাই চুলের কোনও সমস্যা হলে অবিলম্বে কেশুতি পাতাকে এইভাবে ব্যবহার করুন।
No comments:
Post a Comment