সুস্থ থাকার জন্য শরীরে পুষ্টির প্রয়োজন, যেখানে মানুষ মনে করে বেশি খেলে একজন মানুষ সুস্থ থাকতে পারে। অতিরিক্ত খাওয়ার চেয়ে সঠিক খাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার জানা উচিৎ কোন্ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং কোনটি ক্ষতিকর।
বেঁচে থাকলে অনেক রোগই আপনাকে ঘিরে ধরবে। বর্তমান যুগে স্বাস্থ্যকে পরিপূর্ণ খাবারের সাথে যুক্ত করে দেখা হয়, অথচ এটি সত্য নয়। কেউ কেউ সারাদিন কিছু না কিছু খেতে থাকেন কিন্তু সুস্থ থাকতে পারেন না।
কারণ তারা শরীরের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা না করে শুধু খেতেই থাকে। তারা এটা জানে না বলেই রোগকে ডেকে আনে। কম খাওয়ায় কোনও ক্ষতি নেই বরং বেশি খেলেই আপনার স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে, পরিপাকতন্ত্র খারাপ হতে পারে, স্থূলতা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়ার পরিবর্তে প্রয়োজনের চেয়ে কম খাওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ । কম খান এবং বেশি জল পান করুন। খাবারে জল, দুধ এবং বাটার মিল্কের মতো খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পেট ভর্তি না করে তাতে কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। স্বাদ নিয়ে জেদাজেদি করলে পরে কষ্ট পেতে হবে। আজকাল স্ন্যাক্স, কোল্ড ড্রিংকস ও পিৎজা-বার্গারের কারণে ক্ষিদে জানা যায় না এবং শরীর হয়ে ওঠে রোগের আবাসস্থল।
পরিবর্তে, আপনার খাদ্য আইটেমগুলিতে উপস্থিত পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিৎ এবং সেই অনুযায়ী আপনার খাদ্য নির্ধারণ করা উচিৎ।এটি আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করবে।
অলসতা ত্যাগ করে পরিশ্রম করুন।
কেউ কেউ স্বাদের কারণে সারাদিন বিভিন্ন ধরনের জিনিস খেতে থাকেন। এসব না করে বরং সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে।
বিকেলে হাল্কা খেতে পারেন, তবে যতবারই খাবার খান, পেট ভর্তি করবেন না। পেট ভর্তি থাকলে শরীরের হজম ক্ষমতা কমতে শুরু করে। আপনি যদি শুধুই খেতে থাকেন এবং পরিশ্রম না করেন তাহলে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সুস্বাদু খাবার সামনে থাকলেই খেতে যাবেন না, বরং এড়িয়ে চলুন। তাহলেই আপনি সুস্থ থাকবেন।
No comments:
Post a Comment