প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের বহু কারণ লক্ষ্য করে থাকবেন। দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদ, ঝগড়া বা একে অপরের সাথে বসবাস না করার কথাও শুনেছেন নিশ্চয়ই, কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মিরাটে এক স্বামী তার স্ত্রীকে বাড়িওয়ালার সাথে শুতে বলে ও স্ত্রীকে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক করতে বলে। স্ত্রী অরাজি হয় এবং প্রতিরোধ করায় তাকে ডিভোর্স দেয় স্বামী। স্বামীর এই কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে নির্যাতিতা থানায় পৌঁছলে পুলিশ অফিসাররাও মহিলার অভিযোগ শুনে অবাক হয়ে যান।
মহিলার অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। আসলে, গোটা বিষয়টি উত্তরপ্রদেশের মিরাট জেলার। এখানকার শাস্ত্রীনগরের বাসিন্দা এক মহিলার বিয়ে হয়েছিল ৬ বছর আগে শ্যামনগরের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। দুজনের দুটি সন্তানও রয়েছে। ওই নারীর স্বামী মাদকাসক্ত। মহিলার অভিযোগ, তারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন। একইসঙ্গে বাড়ির খরচ থেকে ভাড়ার টাকা কিছুই দেন না স্বামী।
মহিলার আরও অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে তাঁর স্বামী তাঁকে বাড়িওয়ালার সঙ্গে ঘুমাতে বাধ্য করছিলেন। তাকে বাড়িওয়ালার ঘরে পাঠিয়ে অনবরত অবৈধ সম্পর্কের কথা বলছিলেন। নির্যাতিতা প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত স্বামী তাকে মারধর করে। স্ত্রী রাজি না হলে, তিন তালাক দিয়ে স্বামী পালিয়ে যায়। লিসাডি গেট থানায় অভিযোগ নিয়ে পৌঁছয় নির্যাতিতা। ভুক্তভোগী জানান, স্বামীর কথা না শুনলে আবারও তাকে মারধর করা হয়। মহিলার প্রতিবাদে অভিযুক্ত স্বামী তাকে তিন তালাক দেওয়ার পর থেকেই পলাতক।
ওই মহিলা পাশেই বসবাসকারী তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এ তথ্য দেন। তারাও ওই মহিলাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে নির্যাতিতা অভিযোগ নিয়ে থানায় যান। এখানে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment