হঠাৎ কোনো পার্টিতে যেতে হলে হুট করে গ্লোয়িং স্কিন পাওয়াটা বড় সমস্যা। মহিলারা প্রায়শই এর জন্য ব্লিচ ব্যবহার করেন তবে কখনও কখনও এতে উপস্থিত রাসায়নিকগুলি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই ব্লিচের উপকারিতার পাশাপাশি এটি ব্যবহারের উপায় সম্পর্কেও জানা জরুরি।
কেন ব্লিচ প্রয়োজন: আসলে, আপনার ত্বককে প্রতিদিন ধুলো, মাটি, দূষণ এবং সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির মতো ক্ষতিকারক উপাদানের মুখোমুখি হতে হয়। এতে ত্বক শুষ্ক, নিস্তেজ ও প্রাণহীন দেখায়। এই ক্ষেত্রে, ব্লিচ আপনার ত্বকের প্রেমময় যত্ন দেয়।
এর ব্যবহারে ত্বকের ভাঙা কোষ কয়েক মিনিটের মধ্যে মেরামত হয়ে যায়। এটি মেলানিনের স্তর রাখে, একটি রঙ্গক যা ত্বককে কালো করে তোলে, ন্যূনতম পর্যন্ত। এ কারণে ব্লিচ ব্যবহারে ত্বকের রং ভালো হয়। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
ব্লিচের উপকারিতা:১. ত্বকে একটা আলাদা আভা আসে।২. মুখের ছোট ছোট দাগ এটি দিয়ে সহজেই লুকানো যায়।৩. শরীরের যে অংশে এটি ব্যবহার করা হয় সেখানে অবাঞ্ছিত লোমও স্কিন টোনে মিশে যায়, যার কারণে ত্বক পরিষ্কার ও সুন্দর দেখায়। ৪. ত্বকের আর্দ্রতা ও কোমলতা বজায় থাকে।৫. ব্লিচ ব্যবহার করার পর ত্বকে কোনো জ্বালাপোড়া হয় না।
ব্লিচ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন:
১. প্রথমে, আপনার হাতের একটি ছোট অংশে ব্লিচ ব্যবহার করুন। এটি করার পরে, যদি ত্বকে কোনও জ্বালা বা চুলকানি না থাকে তবে এটি মুখে লাগান।
২. অন্তত ২১ দিনের ব্যবধানে শুধুমাত্র ব্লিচ ব্যবহার করা উচিৎ।
৩. ত্বকে কোনো ধরনের আঘাত বা স্ক্র্যাচ থাকলে ব্যবহার করবেন না।
৪. ব্লিচ তৈরি করার সময়, দুই স্কুপ ক্রিমে এক চিমটি অ্যাক্টিভেটর যোগ করুন কারণ খুব বেশি অ্যাক্টিভেটর যোগ করলে ত্বকে জ্বালা হতে পারে।
৫. ব্লিচ লাগানোর ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। এতে আপনার মুখে এমন দীপ্তি আসবে যে দর্শকরা প্রশংসা না করে থাকতে পারবেন না।
No comments:
Post a Comment