সন্তান জন্মের পর থেকেই দুধ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি থাকে। অনেকেই গরুর দুধকে মহিষের দুধের চেয়ে ভালো মনে করেন আবার অনেকে ছাগলের দুধকে শিশুদের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করেন। সকলেই জানেন যে দুধ শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন দুধ শিশুর বৃদ্ধির জন্য ভালো হবে এবং কোন বয়সে আমাদের দুধ পান করা উচিত। আমরা এই সমস্ত প্রশ্ন সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বাচ্চাদের জন্য গরুর দুধ বনাম মহিষের দুধ:ছোট বাচ্চাদের পান করার জন্য গুঁড়ো দুধ গরু ও মহিষের দুধের চেয়েও ভালো বলে জানা যায়। কারণ গরু বা মহিষের দুধে ভেজালের সম্ভাবনা থাকে।
যাইহোক, গরুর দুধ শিশুদের জন্য উপকারী বলা হয়। গরুর দুধ মহিষের দুধের চেয়ে বাচ্চাদের জন্য হালকা বলা হয়। গরুর দুধে মহিষের দুধের তুলনায় কম চর্বি থাকে। ১০০ মিলি গরুর দুধে মায়ের দুধের সমান সংখ্যক ক্যালোরি থাকে। যাইহোক, শিশুকে এক বছরের জন্য শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
মায়ের দুধের চেয়ে ভালো আর কিছু নেই। যদি কোনো কারণে মায়ের দুধ শিশুকে খাওয়ানো না হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে শিশুদের জন্য ফর্মুলা কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাচ্চাদের জন্য ছাগলের দুধের সূত্রের উপকারিতা: জন্ম থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো হয়। এরপর মায়ের দুধের পাশাপাশি গরু বা মহিষের দুধও খাওয়ানো হয়। গরু-মহিষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর দুধ শিশুদের খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু ছাগলের দুধ খাওয়াতে পারেন। ছাগলের দুধ যেমন হালকা তেমনি পুষ্টিকর। ছাগলই একমাত্র প্রাণী যে খাবারের সবকিছু হজম করতে পারে।
গরুর দুধের সাথে ল্যাকটোজও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যার কারণে শিশু এটি সহজে হজম করতে সক্ষম হয় না। ছাগলের দুধে গরুর দুধের তুলনায় কম ল্যাকটোজ থাকে। ছাগলের দুধ সহজে হজম হয়। ছাগলের দুধে অন্যান্য দুধের তুলনায় বেশি প্রিবায়োটিক থাকে। এতে শিশুর পেট ভালো থাকে এবং ভালো ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়।
No comments:
Post a Comment