ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে, সাধারণ মানুষ আবারও ধাক্কা খেয়েছে। পেট্রোল-ডিজেল ও রেশনের পর এবার তৈরি পোশাক, বস্ত্র, জুতোও দামি হবে। নতুন হার ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে প্রযোজ্য হবে। প্রকৃতপক্ষে, সরকার তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল এবং জুতার মতো তৈরি পণ্যগুলিতে জিএসটি হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করেছে, যা ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে প্রযোজ্য হবে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
CBIC একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে যে জানুয়ারী ২০২২ থেকে, কাপড়ের উপর জিএসটি হার ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ হবে। এর সাথে, যে কোনও মূল্যের তৈরি পোশাকের উপর জিএসটির হারও ১২ শতাংশ হবে। আগে ১০০০ টাকার বেশি দামের কাপড়ের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য ছিল।
কোন কাপড়ের উপর কত জিএসটি?
অন্যান্য টেক্সটাইলের (বোনা কাপড়, সিন্থেটিক সুতা, গাদা কাপড়, কম্বল, তাঁবু, টেবিল ক্লথের মতো অন্যান্য টেক্সটাইল) জিএসটি হারও ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এর সাথে, যেকোনও মূল্যের জুতার উপর প্রযোজ্য জিএসটি হারও কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে ১০০০ টাকার বেশি মূল্যের জুতোর উপর ৫ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য করা হয়েছিল।
ক্ষোভ প্রকাশ করেছে CMAI
সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ক্লোথিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (CMAI) বলেছে যে পোশাকের উপর জিএসটি হার বাড়ানোর সরকারের সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। CMAI সভাপতি রাজেশ মাসান্দ বলেন, 'CMAI এবং অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্যবসায়িক সংগঠনগুলি সরকার এবং জিএসটি কাউন্সিলের কাছে জিএসটি হারে এই পরিবর্তন কার্যকর না করার জন্য আবেদন করে। এটি বস্ত্র ও পোশাক ব্যবসার জন্য খুবই হতাশাজনক।
জিএসটি হার বাড়ানোর জন্য বৃহত্তর চাপ
এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শিল্প ইতিমধ্যে কাঁচামাল বৃদ্ধির চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। এর সাথে সাথে প্যাকেজিং সামগ্রী এবং মালবাহী পণ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জিএসটি হার বৃদ্ধি আরেকটি বড় ধাক্কা। জিএসটি হার না বাড়ানো সত্ত্বেও বাজার ১৫-২০ শতাংশ পোশাক বৃদ্ধির আশা করেছিল। জিএসটি হার বৃদ্ধির পরে, আরও বাড়তে পারে এবং এর প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর পড়বে। কারণ পোশাকের বাজারের ৮০ শতাংশের বেশি এমন পোশাকের যার দাম হাজার টাকার কম।
No comments:
Post a Comment