জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ করছে চীন, উদ্দেশ্য উত্তর-পূর্বের শান্তি নষ্ট করা

মণিপুরে পরিচালিত পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) শনিবার, ১৩ নভেম্বর সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে।  পিএলএ-র হামলায় আসাম রাইফেলসের এক কর্নেল সহ মোট ৭ জন নিহত হয়।  সূত্র অনুসারে, ১৫ জনেরও বেশি পিএলএ ক্যাডার সেনা কনভয়ের উপর হামলায় জড়িত ছিল, যারা কনভয়ে আইইডি বিস্ফোরণ ছুড়েছিল।

উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করার বড় ষড়যন্ত্র
নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করার জন্য একটি বড় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং চীনা তৈরি অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিপুল পরিমাণে জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।  বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গি সংগঠন পিএলএ চীনা সেনাবাহিনীর খুব কাছাকাছি।  কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় নিযুক্ত এক অফিসারের মতে, পিএলএ-তে প্রায় ৬০০-৭০০ সশস্ত্র জঙ্গি রয়েছে।  ভারত-মায়ানমার সংলগ্ন মায়ানমার এলাকায় তাদের ক্যাম্প রয়েছে।  সেনাবাহিনী যখনই এসব গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তখনই সবাই মিয়ানমারের সীমান্তে প্রবেশ করে।

মায়ানমারে চীনা সদর দপ্তর
মায়ানমার-চীন সীমান্তের কাছে রুইলিতে লুকিয়ে থাকা চরমপন্থী উপদলের (উলফা) নেতা পরেশ বড়ুয়ার সহায়তায় উত্তর-পূর্বের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিতে চীনা অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।  জি মিডিয়ার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পিএলএ-এর হেড কোয়ার্টার মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন, মান্দালে, সাগাইং-এ রয়েছে।  মায়ানমারে ও চীন সংলগ্ন মায়ানমারের ওয়া এলাকা থেকে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম চলে।  চীন থেকে উত্তর-পূর্বে প্রাপ্ত অস্ত্রের চালান ক্রমাগত সরবরাহ করার পাশাপাশি, এই দলটি চরমপন্থী দলগুলিতে যুবকদের নিয়োগের সঙ্গেও জড়িত।