দক্ষিণেশ্বরে নিয়ম অনুসারে মা ভবতারিণীর পুজো। দেবী সেজেছেন অলংকারে পরিহিত। মাকে দেওয়া হয়েছে সাবেকি বেনারসি। ভোর পাঁচটার দিকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। দুপুর ১২টায় বন্ধ হয়ে যাবে মন্দির। বিকেল ৩টায় আবার খুলে যাবে মন্দিরের গেট। এরপর থেকে সারারাত খোলা থাকবে।
সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বরে ভক্তদের ভিড়। এবারও মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক কড়া নিয়ম রয়েছে। দূরত্বের নিয়ম থেকে শুরু করে সব নিয়মই কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই মন্দির চত্বরের বাইরের অংশে ভক্তদের উপস্থিতি দৃশ্যমান। গঙ্গার ঘাট থেকে নাট মন্দির ও চাতাল পর্যন্ত ভক্তদের সমাগম দেখা যায়। সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে করোনায়। এবার মন্দিরে বড় পর্দায় পুজো হবে না। মন্দিরের ছাদে ২০০ জনকে একসঙ্গে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একবারে ১০ জনের বেশি লোককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গঙ্গা ঘাটে স্নান করে সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির নিয়ে সারাদেশের মানুষের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন অনুভূতি। তাই সব কাজ কোভিডের নিয়মে করা হচ্ছে। মন্দিরে প্রবেশের আগে ভক্তদের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হয়। দর্শনার্থীদের স্যানিটাইজার টানেল দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মন্দির প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এবার প্রসাদ দেওয়া হবে না। পুজোর পর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে সরতে হবে। কোথাও কাউকে বসতে দেওয়া হবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মন্দির প্রশাসন।
No comments:
Post a Comment