আমাদের গলায় একটি থাইরয়েড গ্রন্থি রয়েছে যা গলার স্বরযন্ত্রের ঠিক নীচে এবং শ্বাসনালীর উভয় পাশে প্রজাপতির ডানার মতো ছড়িয়ে রয়েছে। এর থেকে নিঃসৃত হরমোন যখন আমাদের রক্তে কম বা বেশি পরিমাণে পৌঁছায়, তখন শরীরে নানা ধরনের সমস্যা শুরু হয়।
থাইরয়েড গ্রন্থি মস্তিষ্কে উপস্থিত পিটুইটারি গ্রন্থি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোন (TSH) তৈরি করে। থাইরয়েড গ্রন্থি অল্প পরিমাণে হরমোন তৈরি করতে শুরু করলে শরীরে হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দেয়। আসুন জেনে নেই এর সম্পর্কে
রোগের কারণ: অটো-ইমিউন-ডিসঅর্ডার, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাইরয়েড গ্রন্থিকে আক্রমণ করে তখন শরীরের অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ওষুধ ও সার্জারি, কম আয়োডিন গ্রহণ এবং হাইপোথাইরয়েডিজমের পারিবারিক ইতিহাসও কারণ হতে পারে।
উপসর্গ: ওজন বৃদ্ধি, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা, বিষণ্ণতা, পেশী এবং পা ফুলে যাওয়া এবং প্রসারিত হওয়া, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, চোখ ফোলা, শুষ্ক এবং ঘন ত্বক, কোষ্ঠকাঠিন্য, চুল পড়া, অনিয়মিত বা অতিরিক্ত মাসিক , অতিরিক্ত ঘাম, গলা কর্কশ হওয়া বা ভারী হওয়া, নখের ঘনত্ব ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে।
খাওয়া দরকার : পেঁয়াজ, বিটরুট, বিট লবণ, মূলো, শালগম, ব্রাহ্মী, শসা, শাপলা, সবুজ শাকসবজি, হলুদ, ফুল-মাখানা, ডালিম, আপেল, মৌসুমি, আমলকি, জাম, আনারস, করলা, টমেটো। , পালং শাক আপনার খাদ্যতালিকায় আলু, মটর, পটল, পনির, দুধ, দই এবং লস্যি ইত্যাদি খাওয়া দরকার।
মুক্তি পাওয়ার উপায় : ব্রাহ্মী, গুগ্গুলু, মাঘের পিপল, কালো মরিচ, ত্রিফলা, কিশমিশ, দশমূল ইত্যাদি নিয়মিত ব্যবহারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা দূর হয়।
১০কেজি গমের আটার মধ্যে দুই কেজি বাজরের আটা এবং দুই কেজি জোয়ারের আটা মেশান। এই ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১০০ গ্রাম পরিমাণে শুকনো ধনে মিহি করে পিষে নিন। দুই চা চামচ এই মিশ্রণটি রাতে দুই গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এই জল পান করুন এবং ধনেটি চিবিয়ে খান।
সমপরিমাণ আমলকি , গোখরু ও গিলয় পাউডার মিশিয়ে নিন। সকাল-সন্ধ্যা জলের সাথে খেলে রোগীদের মানসিক চাপ দূর হয়। কাচনার গুগ্গুলুর ৩ ট্যাবলেট দিনে দুবার, দশমূলরিষ্ট কোয়াথ ২০মিলি জলের সাথে মিলিয়ে খান উপকার পাবেন।
No comments:
Post a Comment