ঘি শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি শরীরে শক্তি যোগায়। ঘি-এর রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈশিষ্ট্য। ঘিতে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বক, চোখ এবং চুলকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ রাখে।
সপ্তাহে একবারও ঘি গরম করে চুলে লাগালে চুলের ক্ষতি রোধ করে।এটি চুলকে ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুল নরম করে। এছাড়াও ঘি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। এখানে এর সম্পর্কে জানুন
চুল নরম করে: ঘি ফ্যাটি অ্যাসিড দিয়ে তৈরি যা চুলের পুষ্টি এবং আর্দ্রতা সরবরাহ করে। এতে চুল মজবুত হয়, চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুল নরম করে।
খুশকি দূর করে: শীতে খুশকির সমস্যা বাড়ে। ঘি মালসেজিয়া ফুরফুর নামক ছত্রাকের বৃদ্ধি রোধ করে। এটি খুশকি থেকে অনেকাংশে মুক্তি দেয়।
চুলের গঠন উন্নত করে: কেরটিন একটি চুলের প্রোটিন, যা চুলকে শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর করতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। আজকাল মানুষ চুলের কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করে হাজার হাজার টাকা খরচ করে। ঘি ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ এবং কেরাটিনকে উৎসাহিত করে। এটি আপনার চুলের গঠন নিজেই উন্নত করে।
চুল পাকা হওয়া রোধ করে: আজকাল অকালে চুল পাকা হওয়ার সমস্যাও সামনে আসছে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি কেরাটিনের ক্ষতি করে, যার কারণে চুলের রং পরিবর্তন হতে থাকে। যেহেতু ঘি কেরাটিন প্রচার করে। এমন পরিস্থিতিতে এটি চুলকে অকালে পাকা হওয়া থেকে রক্ষা করে।
চুলের বৃদ্ধি করে: চুলের বৃদ্ধির জন্যও ঘি উপকারী বলে মনে করা হয়। ভিটামিন-এ এবং ই-এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান ঘিতে পাওয়া যায়, যা চুলের বৃদ্ধিকে উন্নত করে। এটি মাথার ত্বকের সংক্রমণ থেকেও মুক্তি দেয়।
No comments:
Post a Comment