করোনার পর এখন এই বিপজ্জনক ভাইরাসের তাণ্ডব - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 7 November 2021

করোনার পর এখন এই বিপজ্জনক ভাইরাসের তাণ্ডব


করোনা ভাইরাসের পর এবার জিকা ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু।  জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।  জিকা ভাইরাস নিয়েও সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।  সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।  উত্তরপ্রদেশের কানপুরে বাড়ছে জিকা ভাইরাসের আক্রমণ।  গত ২৪ ঘন্টায় ১৩টি নতুন সংক্রমণের আগমনের কারণে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।  নগরীতে এ পর্যন্ত পাওয়া জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।  একই সময়ে, জিকা ভাইরাসের প্রথম কেসও কনৌজে রিপোর্ট করা হয়েছে।


দেশে কোথায় জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
দেশে প্রথম, ২০১৭ সালে গুজরাটে ৩টি এবং ২০১৮ সালে ১টি আক্রান্ত রিপোর্ট করা হয়েছিল।  তারপর ২০১৭ সালে তামিলনাড়ুতে ১টি রিপোর্ট আসে।  ২০১৮ সালে, মধ্যপ্রদেশে হঠাৎ করে জিকা ভাইরাসের ঘটনা বেড়েছে এবং ১৩০ জনকে সংক্রমিত পাওয়া গেছে।  একই বছর ২০১৮ সালেই, রাজস্থানে জিকা ভাইরাসের ১৫৯ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল।  ২০২১ সালে, হঠাৎ করে কেরালায় জিকা ভাইরাসের কেস দেখা দিতে শুরু করে।  এরপর রিপোর্ট হয়েছে ৬৪টি।  ইতিমধ্যে, মহারাষ্ট্রে জিকা ভাইরাসের একটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে এবং এখন কানপুর এবং কনৌজ সহ ইউপিতে ৮০ টি কেস হয়েছে।


জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলো ডেঙ্গুর মতো
জিকা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৪৭ সালে।  উগান্ডার জিকা বনে সংক্রমণ পাওয়া গেছে।  ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছে জিকা বন।  জিকা ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।  জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলো ডেঙ্গুর মতোই।  কিন্তু জিকা ভাইরাস ডেঙ্গুর চেয়েও মারাত্মক।  এর লক্ষণগুলো হলো জ্বর, শরীরে দাগ ও জয়েন্টে ব্যথা।

জিকা ভাইরাসের লক্ষণ
জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, জ্বর, চোখ লাল হওয়া, শরীরে ফুসকুড়ি, পেশীতে ব্যথা এবং জয়েন্টে ব্যথা।  জিকা ভাইরাস একটি মশাবাহিত রোগ, যা এডিস মশা ছড়ায়।  এই প্রজাতির মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াও ঘটায়।  জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায়শই লক্ষণ থাকে না বা তাদের লক্ষণগুলি খুব হালকা হতে পারে।


কিভাবে জিকা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবেন?
উল্লেখযোগ্যভাবে, জিকা ভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকার নেই।  শুধু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। জিকা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ঘরে মশা বংশবৃদ্ধি করতে দেবেন না।  মশারি ব্যবহার করুন।  বাড়ির জানালা ও দরজায় নেট লাগাতে ভুলবেন না।  বাইরের ও প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।  আক্রান্ত স্থানে ভ্রমণের পর যদি আপনার জ্বর হয় তবে একজন ডাক্তারকে দেখান।  ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad