নীরব রাতে আতশবাজি ফাটছে, রাস্তায় পটকা জ্বলছে, পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ, এলাকায় ঢুকে পড়া দুটি হাতিকে বের করে বনে পাঠানোর জন্য অপেক্ষা করছে। সব শেষে রাত ১২ টায় রাতের 'মিশন সাকসেসফুল' ২২ ঘণ্টার দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর হাতি দুটিকে ফিরিয়ে আনতে সফল হয় বন বিভাগ।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ প্রশাসন ও বন দফতরের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। অবশেষে বনকর্মীরা জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি জাতীয় সড়ক পার হয়ে ডেঙ্গুয়াঝার চা বাগানে দুটি হাতিকে পাঠায়। এরপর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পুলিশ-প্রশাসন।
জলপাইগুড়ির বিআইটি অফিসার উত্তম মজুমদার বলেন, "দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আমরা হাতি দুটিকে জাতীয় সড়কের ওপারে আনতে পেরেছি। এখন আমরা তাদের সঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।" যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্বের কাজ শেষ, এখন বাকিটা করতে হবে। জলপাইগুড়ি বিপর্যয় মোকাবিলা দলের মাস্টার ট্রেইনার বলেন, “গতকাল রাত থেকেই বন দফতর, পুলিশ, প্রশাসন, স্থানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুটি হাতি বনে নিয়ে গেছে। পাঠাতেই তারা ছুটে যায়। জঙ্গলে একদিনের চেষ্টা সফল হয়েছে জাতীয় সড়ক পার হওয়ায়।"
রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরে এসেছে দুটি হাতি, আনন্দ চন্দ্র কলেজ সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল ওই দুটি হাতি।শহরের অনেক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে স্থানীয়দের সতর্ক করতে, মাইকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল।
বিকেল ৫টা নাগাদ জলপাইগুড়ি কবরস্থান থেকে হাতিদের তাড়াতে শুরু করেন বনকর্মীরা। দুটি হাতিই কবরস্থান ছেড়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যায়। এর পরে তারা দ্রুত কবরস্থানে ফিরে যায়। অনেক পরে তারা কবরস্থান থেকে বেরিয়ে আসে। তারপরে জাতীয় সড়ক থেকে হাতি দুটিকে বনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, প্রায় ২২ ঘন্টা পরে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment