বিজেপির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করার দম আছে একমাত্র তৃণমূলের, নির্বাচনী সভায় হুঙ্কার অভিষেকের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 23 October 2021

বিজেপির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করার দম আছে একমাত্র তৃণমূলের, নির্বাচনী সভায় হুঙ্কার অভিষেকের


'বিজেপি থেকে আসলে সবাইকে তৃণমূলের ঢুকতে দেওয়া হবে না। যে কজন আসছে তাদের প্রায়শ্চিত্ত করানো হচ্ছে। খড়দহ নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন তৃনণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার খড়দহ বিধানসভার উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে খড়দহ সূর্যসেন স্পোটিং ক্লাবের মাঠে জনসভা করে অভিষেক। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক দলবদলু থেকে শুরু করে বিজেপিকেও তুলোধনা করেন।  


অভিষেক বলেন, "অনেকের মনেই দুঃখ কষ্ট আছে। কিন্তু সবাইকে ঢুকতে দেব না। আমি আছি। অত সস্তা নয়। ইতিমধ্যে বিজেপি থেকে ৪ থেকে ৫ জন বিধায়ক তৃণমূলের ঢুকেছে। যারা ঢুকছে তাদের প্রায়শ্চিত্ত করাচ্ছি। কর্মীদের আবেগ মাথায় রেখে বলছি, আর যাই হোক বিশ্বাসঘাতকদের তৃণমূলে ঢুকতে দেব না।  এবারের তৃণমূল আগের থেকে আলাদা।" 


অভিষেক আরও বলেন, "তৃণমূল আজ কেবল বাংলায় নেই, আগামী দিনে ত্রিপুরা, অসম সহ আরও পাঁচ রাজ্যে যাব। যেই রাজ্যে বিজেপি আছে সেখানেও তৃণমূল সরকার গড়বে। বিজেপির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করার দম আছে একমাত্র তৃণমূলের।" 

 

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, "আমাকে পাঁচটা সমন পাঠিয়েছে, কলকাতার মামলা কিন্তু ডেকে পাঠিয়েছ দিল্লীতে, নয় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। নয় কেন নয় হাজার ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করলেও, ৯০ হাজার সমন পাঠালেও, ভয় পাব না, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। গলা কেটে দিলেও তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না।" তিনি এও বলেন, ভোটের আগে ইডি সিআইডি দিয়ে নানা রকম ভাবে ভয় দেখানো হয়েছে তৃণমূলকে।


অভিষেক বলেন, "আগামী তিন মাসের মধ্যেই গোয়ায় বিধানসভার ভোট, সেখানে বিজেপিকে হারিয়ে  তৃণমূল সরকার গড়বে। এর পরে আগামী দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় সরকার গড়ব আমরা। বিপ্লব দেবের বিদায় ঘন্টা বাজা শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর আগামীদিনে মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশও ঢুকছি কথা দিয়ে গেলাম।"


বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও ছেড়ে কথা বলেন না অভিষেক। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস কখনও সিপিএম, তো কখনও আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করেছে। যেনতেন প্রকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হবে, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে হবে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য হচ্ছে কংগ্রেস সাত বছর ধরে বিজেপির কাছে হারছে। আর তৃণমূল বিজেপিকে হারাতে সাত বছর ধরে। ২০২৪ সালে তৃণমূল বিজেপিকে হারাবে, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা।'


প্রসঙ্গত, এদিনের এই জনসভায় অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ ভৌমিক চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ, আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ শ্যাম, মহিলা সভানেত্রী সোনালী সিংহ রায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, রাজ্য বিধানসভার উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, মদন মিত্র, সুবোধ অধিকারী সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। 


এই দিনে জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খড়দহের বিধায়ক কাজল সিনহার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাকে শ্রদ্ধা জানান এবং মানুষের কাছে খড়দহ বিধানসভার উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন করেন। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad