অনেকেরই বসে বা শুয়ে পা নাড়ানোর অভ্যাস আছে। লোকেরা অনেকেই আবার এই পা নড়াচড়া করাকে অশুভ মনে করে এবং অন্য ব্যক্তিকে তা করতে বাধা দেয়। কিন্তু পা নাড়ানো শুধু ধর্মীয়ভাবে নয়, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও খারাপ বলে মনে করা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রেস্টলেস সিনড্রোমের লক্ষণ হতে পারে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের কয়েকজন গবেষক বলছেন, ঘন ঘন পায়ের নড়াচড়ার মতো রোগে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রোগ সম্পর্কে-
কী এই রেস্টলেস সিন্ড্রোম
রেস্টলেস সিন্ড্রোম স্নায়ুতন্ত্রের সাথে যুক্ত একটি রোগ। পা নাড়াচাড়া করার ফলে ব্যক্তির শরীরে ডোপামিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যার কারণে তিনি ভালো অনুভব করেন এবং বারবার করতে চান। একে ঘুমের ব্যাধিও বলা হয়। ঘুমের অভাবের কারণে একজন ব্যক্তি ক্লান্ত বোধ করেন। এই ক্ষেত্রে, পরীক্ষা করার জন্য লক্ষণগুলির উপর ভিত্তি করে একটি রক্ত পরীক্ষা করা হয়। অনিদ্রার সমস্যা বাড়লে পলিসমনোগ্রাফি (PSG) করিয়েও এটি নিশ্চিত করা যায়। এই পরীক্ষা দিয়ে ঘুম না আসার কারণ জানা যায়।
রেস্টলেস সিন্ড্রোমের কারণ
শরীরে আয়রনের অভাবে প্রায়ই এই সমস্যা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ওজন হওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত মদ্যপান ও সিগারেট খাওয়াও এর প্রধান কারণ। অনেক ক্ষেত্রে হার্ট, কিডনি, পারকিনসন্স, সুগার, বিপি রোগী এবং গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের শেষ দিনে হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
লক্ষণ
পায়ে ঝাঁঝালো এবং হাঁটার মতো অনুভূতি
পায়ের জ্বালা এবং চুলকানি
পায়ে কাঁপা বা ব্যথা
এমনকি রাতে ঘুমানোর সময়ও পা কাঁপা
ঝুঁকে পড়ার তাগিদ এবং ক্লান্তি
চিকিৎসা
পর্যাপ্ত ঘুম পান এবং কমপক্ষে ৭ বা ৮ ঘন্টা ভালো ঘুম পান।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং স্ট্রেচিং করুন।
আপনার ডায়েটে বিশেষ মনোযোগ দিন এবং খাবারে আয়রন সমৃদ্ধ জিনিস যেমন সরিষা, পালং শাক, বীট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন।
অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা হিসেবে আয়রন ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
ক্যাফেইনযুক্ত পদার্থ, ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
No comments:
Post a Comment