সৌমিতা চক্রবর্তী, প্রেসকার্ড নিউজ: সিলমোহর আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর হলও সেটাই। তৃণমূলে ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত।
একবার মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলের মায়া কাটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিধাননগর আসন থেকে তার একসময়ের সতীর্থ সুজিত বসুর কাছে হেরে যান। এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই বাংলার জনগণ দেখতে শুরু করেছেন একসময়ের তৃণমূল ত্যাগীদের ঘরে ফেরার ঘটনা।
শুরুটা হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়েই। আর পদ্ম বনে মুকুল ঝরতেই অনেকেই বাজছেন বেসুরো, তো কেউ কেউ আবার সেই শিবির ত্যাগ করে সোজা এসে যোগ দিয়েছেন জোড়াফুলে। সেই তালিকাতেই জুড়ল নতুন নাম। বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে শেষমেশ ঘরে ফিরলেন ঘরের ছেলে সব্যসাচী দত্ত।
যেদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণ নিলেন সেদিনই সব্যসাচী দত্ত তার পুরনো বাড়িতে ফিরেএলেন। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সব্যসাচীর তৃণমূলে ফেরার ঘোষণা দেন শপথ গ্রহণের আগেই। সেটাই হল। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জী এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে পুনরায় যোগ দিলেন।
সব্যসাচী কয়েকদিন ধরে বেসুরো বাজছিলেন। দলের বিপরীতে গিয়ে কথাও বলছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসছিল তার। এরপর থেকেই শুরু হয় গুঞ্জণ। অবশেষে সেই গুঞ্জণই সত্যি হল, দু'বছর পর ঘরে ফিরল ঘরের ছেলে।
উল্লেখ্য, সব্যসাচী দত্ত ছিলেল বিজেপির রাজ্য সম্পাদক এবং আসন্ন খড়দহ উপনির্বাচনে তাকে ইনচার্জ করেছিল পদ্ম শিবির।
No comments:
Post a Comment