প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: প্রায়শই মহিলারা গৃহস্থালীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের যত্ন নিতে ভুলে যান। এটি তাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীরা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে জীবনের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে। এর মধ্যে রয়েছে ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা, মাতৃত্ব এবং মেনোপজ। এজন্য নারীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সক্রিয় থাকতে হবে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। এর জন্য তাদের সঠিক রুটিন, সুষম খাদ্য এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। এটি মা এবং শিশু উভয়কেই সুস্থ এবং সুখী রাখে। ডাক্তাররা সবসময় গর্ভবতী মহিলাদের অনেক কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন। আসুন, এর সম্পর্কে কিছু জানা যাক ---
ব্রকোলি
এই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, গ্যাস সহ পেটের সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এজন্য খাদ্যতালিকায় ব্রকোলি, পালং শাকের মতো সবুজ সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। ফাইবার ছাড়াও, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামও এগুলোর মধ্যে পাওয়া যায়।
স্যালমন মাছ
ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে। চর্বিযুক্ত মাছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এটিতে প্রদাহবিরোধী, অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি মস্তিষ্ককে সব ধরণের রোগ থেকে নিরাপদ রাখে। এই জন্য, সালমন, টুনা, হেরিং মাছ খাওয়া যেতে পারে।
বেরি
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফ্লেভোনয়েডস, ভিটামিন সি, অ্যান্থোসায়ানিন, দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যাল, ফোলেট, কেম্পফেরল সহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান বেরিতে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর জন্য, বেরিকে পাওয়ারহাউস বা শক্তিঘরও বলা হয়। এগুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। অতএব, গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন বেরি খাওয়া উচিৎ। আপনি যদি চান, তাহলে আপনি স্যালাড বা স্মুদি আকারেও বেরি খেতে পারেন।
পালং শাক
ডাক্তাররা সবসময় গর্ভবতী মহিলাদের লোহা বা আয়রনের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। পালং শাক লুটিন, পটাশিয়াম, ফাইবার, ফোলেট এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। এর ব্যবহার শুধু আয়রনের ঘাটতি দূর করে না, এতে পটাসিয়ামের উপস্থিতির কারণে উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
No comments:
Post a Comment