প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : ভোট-পরবর্তী সহিংসতার একটি ঘটনায়, সিবিআই হলদিয়া থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের শনিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিবিআই পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়েছিল। শনিবার রাতে তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল এবং ১২ অক্টোবর আবার আদালতে তোলা হবে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা -কর্মীরাও। সবাইকে হলদিয়া সিবিআই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। বিবৃতিতে অসঙ্গতির জন্য মেলায় তাদের গ্রেপ্তার হয়। সূত্রের দাবী, ভোট-পরবর্তী সহিংসতার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রামের চিল্লাগ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনে জড়িত। তার বিরুদ্ধে খুন ও ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে। যদিও বন্দীরা দাবী করেন তারা নির্দোষ। রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার।
ভোটের পর পূর্ব মেদিনীপুর আতঙ্কে ছিল। অভিযোগ করা হয় যে ২ মে অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলের পর থেকে জেলার অনেক জায়গায় বেশ কয়েকদিন ধরে গুন্ডামি চলছিল। তাদের অধিকাংশই তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী বলেও দাবী করা হয়।
সহিংসতার ঘটনায় নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কেন্দমারী, চিল্লাগ্রাম, মোহাম্মদপুর, গোকুলনগর সহ অনেক এলাকা শিরোনামে আসে। ৪৯ বছর বয়সী দেবব্রত মাইতি পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। চিল্লাগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়, সাধারণ বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের মারধর করা হয়। পরে এটি তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় সেখান থেকে এসএসকেএম, কলকাতায়। দেবব্রত মাইতি ১৩ মে মারা যান। পরে মে মাসে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তের জন্য নন্দীগ্রামের বেশ কয়েকটি এলাকায় দেওব্রতের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
পরবর্তীতে সন্ত্রাস, খুন ও ধর্ষণের তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। ৩১ আগস্ট থেকে নন্দীগ্রামে দেবব্রত হত্যার তদন্ত করছে সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার হলদিয়া সিবিআই অফিসে ১১ জন সন্দেহভাজনকে ডাকা হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment