প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন রবিবার সকাল ৮ টায় ভোট গণনা শুরু করবে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, গণনার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ের ওপর নজরদারি। কড়া নিরাপত্তায় মোড়া রয়েছে গণনা কেন্দ্রের চত্বর। সকলের নজর এখন ভবানীপুরেই আটকে। কারণ কালকের ফলাফল নির্ধারণ করবে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য। যদিও জয় নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী শাসক শিবির। তবে পদ্ম শিবিরও মনে করছে জয়ের হাসিটা তারাই হাসবে।
বিজেপি দাবী করেছে ভবানীপুরে খুব জোরদার লড়াই হবে। মমতা ব্যানার্জির স্বাভাবিক নির্বাচনী এলাকা ভবানীপুর, তবে তিনি বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনী লড়াই লড়েছিলেন। ভোটের আগে তৃণমূল বলেছিল যে দিদি ৫০,০০০ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে। মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী এবং বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম যিনি গত এক মাসে প্রায় প্রতিদিন মমতা ব্যানার্জির হয়ে প্রচার চালিয়েছেন এবং তিনি বলেছিলেন আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী যে তিনি ৫০,০০০- এর বেশি ভোটে জিতবেন।
অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিজেপি ভবানীপুরে খুব ভালো লড়াই করবে। ফলাফলের পর যদি কোনও হিংস্রতার সৃষ্টি হয়, তাহলে সরকারকে তা খতিয়ে দেখতে হবে, অন্যথায় সিবিআই আছে।”
উল্লেখ্য, ভবানীপুর আসনে ভোট গণনা ২১ রাউন্ডে হবে। নির্বাচন কমিশন একটি তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ২৪ টি কোম্পানিকে ডাকা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই গণনা কেন্দ্রে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার বাইরের স্তরটি শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশ দেখবে, পরবর্তী স্তরে কেন্দ্রীয় বাহিনীও থাকবে। অভ্যন্তরীণ স্তরে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় পুলিশ থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি নজরদারিতে থাকবে। কর্মকর্তাদের শুধুমাত্র কলম, কাগজ এবং শুধুমাত্র রিটার্নিং অফিসার, পর্যবেক্ষককে ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। সমস্ত কর্মকর্তা এবং গণনা কেন্দ্রে প্রবেশকারীদের অবশ্যই একটি কোভিভ-১৯ নেতিবাচক শংসাপত্র থাকতে হবে।
No comments:
Post a Comment