প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ সফর শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়া যাচ্ছেন। এই রাজ্যে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর, তৃণমূল (টিএমসি) প্রথমে ত্রিপুরা এবং আসামের পাশাপাশি উত্তর -পূর্বের রাজ্যগুলি দখল করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। একই সঙ্গে, এই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে তার ক্ষমতা বাড়াতে আগ্রহী।
শাসক শিবির সূত্রে জানা গেছে, আরব সাগর তীরে জোড়া ফুল ফোটাতে জোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। আর সেই কথা মাথায় রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই গোয়ায় পা রাখতে চলেছেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে তিন দিনের সফর শেষে তিনি ফিরে আসবেন। এরপর তিনি ২৬ অক্টোবর গোয়া যাবেন। তিনি সেখানে বেশ কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেইসাথেই বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সাথে দেখা করবেন।
আগামী বছর ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ভোট। তৃণমূলের এই আসনটি জেতার দিকে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে জানা গিয়েছিল, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের গোড়ার দিকে গোয়া সফর করতে পারেন। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে বদল এসেছে এবং তৃণমূল নেত্রী নিজেরই গোয়া যাওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে দলের মধ্যে থেকেই।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনও সেখানেই আছেন। তিনি বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখাও করেছেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গোয়ায় ১৮ টি আসন জিতেছিল। বিজেপি জিতেছিল মাত্র ১৩ টি আসন। যদিও রাজনৈতিক উত্থান -পতনের পর বিজেপি সরকার গঠন করে। আর বাংলা দখলের পর এবার তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারা দেশে বিজেপির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চায়। সেই অর্থে, তারা গোয়াকে টার্গেট করছে।
ইতিমধ্যেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং দীর্ঘদিনের বিধায়ক লুইসিনহো অনেক ধুমধাম করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আসলে গোয়ায় তৃণমূলে যোগদান এখন রুটিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment