প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: অঘোরীদের এই পৃথিবীতে ভগবান শিবের জীবন্ত রূপ বলে বিশ্বাস করা হয়। শিবের পাঁচটি রূপের মধ্যে একটি হল 'অঘোর রূপ'। অঘোরীরা বরাবরই মানুষের কৌতূহলের বিষয়। অঘোরীদের জীবন যেমন কঠিন তেমনি রহস্যময়। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা আপনাকে অঘোরীদের বিষয়ে কিছু মজার কথা বলছি।
অঘোরীদের সাধনা পদ্ধতি সবচেয়ে রহস্যময়। অঘোরীরা পচা পশুর মাংস স্বাদ করে খায় যেমন সুস্বাদু খাবারগুলি স্বাদ নেওয়ার পরে খাওয়া হয়। অঘোরীরা তিন ধরনের সাধনা করে। শিব সাধনা, শাব সাধনা এবং শ্মশান সাধনা।
অঘোরী মৃতদের মাংস এবং মদ দিয়ে আধ্যাত্মিক অনুশীলন করে
বলা হয় যে শিব সাধনায় মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে ধ্যান করা হয়। বাকি পদ্ধতিগুলি মৃত দেহের অনুরূপ। এই সাধনার মূল হল পার্বতীর শিবের বুকে রাখা পা। এই ধরনের আচার -অনুষ্ঠানে, মৃতদের প্রসাদ হিসেবে মাংস এবং মদ দেওয়া হয়।
অঘোরী শ্মশানের অনুষ্ঠানও করে
শাব এবং শিব সাধনা ছাড়া তৃতীয় সাধনা হল শ্মশান। সাধারণ পরিবারের সদস্যদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই সাধনায় মৃতদেহের পরিবর্তে যে স্থানে মৃতদেহ দাহ করা হয় সেখানে পূজা করা হয়। তার উপর গঙ্গার জল দেওয়া হয়। এখানে মাংস এবং মদের পরিবর্তে মাওয়া প্রসাদ আকারে দেওয়া হয়।
মৃতদেহ খুঁজে বের করা এবং তন্ত্র সাধনের জন্য তাদের ব্যবহার করা
যে সব মৃতদেহ পোড়ায় না বরং কবর দেয় বা গঙ্গায় ফেলে দেয় । প্রায়শই অঘোরী তান্ত্রিকরা এই মৃতদেহগুলি জল থেকে খুঁজে বের করে এবং তাদের তন্ত্র সাধনের জন্য ব্যবহার করে।
মৃতদের সঙ্গে কথা বলতে পারে
বলা হয়ে থাকে যে, অঘোরীদের আধ্যাত্মিক সাধনায় এত ক্ষমতা আছে যে তারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলতেও পারে। এই বিষয়গুলো অদ্ভুত মনে হতে পারে, কিন্তু এগুলো পুরোপুরি অস্বীকার করা যায় না। তাদের সাধনাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। অঘোরীরা গরুর মাংস ছাড়া মানুষের মল থেকে শুরু করে মৃতের মাংসও খায়। অঘোরপন্থে শ্মশানের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এজন্য তারা শ্মশানে থাকতে পছন্দ করে। শ্মশানে আধ্যাত্মিক অনুশীলন করা শীঘ্রই ফলপ্রসূ। তারা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমায় এবং রাতে শ্মশানে ধ্যান করে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ থাকে না।
No comments:
Post a Comment