প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: আপনারা সবাই ময়নাতদন্তের কথা শুনেছেন। যখন একজন ব্যক্তি হঠাৎ মারা যায়, তখন মৃত্যুর সঠিক কারণটি ময়নাতদন্তের সাহায্যে নিশ্চিত করা যায়। ময়নাতদন্তে মৃতদেহ বিচ্ছিন্ন করার পর, ডাক্তার ব্যক্তির দেহ সম্পর্কিত সমস্ত জিনিস যেমন মৃত্যুর কারণ,সময় ইত্যাদি খুঁজে বের করেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ময়নাতদন্ত, যা আমাদের আত্মাকে কেবল তার সম্পর্কে শুনে কাঁপিয়ে তোলে, এমনকি এটি ডাক্তারদের জন্যও কম ভয়ঙ্কর নয়। এর কারণ হল এই ধরনের কিছু ঘটনা ময়নাতদন্তের সময় ঘটে, যা ডাক্তারদেরও হুঁশ উড়িয়ে দেয়।
আমরা জানি যে মৃত্যুর পর শরীরে অনেক পরিবর্তন হয় যেমন শরীরের পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া, ত্বক নীল রং হয়ে যায়, শরীর ঠান্ডা হয় ইত্যাদি।
ডাক্তারেরা ময়নাতদন্তের সময় তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, কখনও কখনও ময়নাতদন্তের সময় শরীর থেকে হাহাকার বা চিৎকারের আওয়াজ হয়। যা শুনলে মনে হয় যেন সামনে পড়ে থাকা মৃতদেহটি হঠাৎ করেই জীবিত হয়ে উঠেছে।
যখন হঠাৎ এই ধরনের শব্দ আসে, এমনকি ডাক্তাররাও একবারের জন্য ভয় পেয়ে যান। যাইহোক, এই ঘটনার পিছনে কারণ সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক।
প্রকৃতপক্ষে, শরীরের ভিতরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া গ্যাস তৈরি করে যার কারণে শরীরের কণ্ঠ পেশীগুলি প্রসারিত হয় এবং এই কারণেই মৃত দেহ হাহাকার এবং চিৎকার শুরু করে।
অনেক সময় একজন ব্যক্তির চোখ বেরিয়ে আসে, কারণ শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি পচে যেতে শুরু করে। এরসঙ্গে, অন্ত্রের মধ্যে গ্যাস তৈরি হওয়াও এর পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ।
গর্ভাবস্থায় যখন কোন মহিলার মৃত্যু হয়, তখন শরীরে উৎপন্ন গ্যাস শিশুকে মায়ের পেট থেকে বের করে দেয় এবং শিশুটি মায়ের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।
No comments:
Post a Comment