অনেক গুণসম্পন্ন রসুন স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী প্রমাণিত হয়। এই কারণেই এটি প্রায় সব ধরনের খাবারে ব্যবহার করে থাকি আমরা। আপনি এটাও জানেন যে আয়ুর্বেদে অনেক রোগের চিকিৎসার জন্যও রসুন ব্যবহার করা হয়। তাই স্বাদ ও গুণের জন্য রসুনের নাম ডাক যথেষ্টই রয়েছে। কিন্তু সুবিধার পাশাপাশি সব জিনিসেরই কিছু অসুবিধাও থাকে। একইভাবে, রসুনেরও কিছু অসুবিধা রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন লোকের রসুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ।
গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের খাওয়া উচিৎ নয়
গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদেরও রসুন খাওয়া উচিৎ নয়। এটি গর্ভাবস্থায় ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। একই সময়ে, স্তন্যদানকারী মহিলারা যদি বেশি করে রসুন খান তবে তা দুধের স্বাদ পরিবর্তন করতে পারে।
বমি বমি ভাব, বমি এবং অম্বল
একটি স্বাস্থ্য প্রতিবেদন অনুসারে, খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে অনেকেরই অম্বল, বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, রসুনে এমন যৌগ রয়েছে যা অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।
ছোট বাচ্চাদের দেবেন না
প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম রসুন খাওয়ানো ছোট বাচ্চাদের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। এর বেশি নয়। তাছাড়া শিশুদের ত্বকে এটি লাগাবেন না, এতে তাদের কোমল ত্বক পুড়ে যেতে পারে।
আরও রক্তপাত হতে পারে
রসুনে প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই এটি বেশি খাবেন না। রক্ত পাতলার ওষুধ যেমন ওয়ারফারিন, অ্যাসপিরিন ইত্যাদির সঙ্গে রসুন খাওয়া উচিৎ নয়। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে।
লিভারের জন্য ভালো নয়
লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। লিভারে সমস্যার কারণে অন্যান্য অঙ্গও আক্রান্ত হতে শুরু করে। রক্ত পরিষ্কার করার পাশাপাশি, লিভার আমাদের শরীর থেকে ফ্যাট মেটাবলিজম, প্রোটিন মেটাবলিজম এবং অ্যামোনিয়া অপসারণের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে রসুনে পাওয়া অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ বেশি পরিমাণে খেলে লিভারে সংক্রমণ হতে পারে।
যোনির সংক্রমণে
যদি কোনও মহিলার ইতিমধ্যেই যোনি পথে সংক্রমণ থাকে, তবে রসুন খাওয়া এড়ানো উচিৎ। কারণ এটি সংক্রমণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
কতটা রসুন খাওয়া নিরাপদ?
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কোয়া রসুন খেতে পারেন, উপকার পাবেন।
No comments:
Post a Comment