প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ কি আর বিজেপির পরিকল্পনাতেই নেই? বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব কি অন্ধ্রপ্রদেশকে ছেড়ে দিয়েছে? বিশেষ করে নতুন 'জাতীয় নির্বাহী কমিটি' গঠনের পর এই প্রশ্নটি এখন বার বার উঠে আসছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নবগঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে অন্ধ্রপ্রদেশকে ন্যূনতম প্রতিনিধিত্ব দিয়েছে, তাতে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে অন্ধ্রপ্রদেশ একটি অকেজো ষষ্ঠ আঙুল।
বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব মনে করে যে তেলেঙ্গানা রাজনৈতিকভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উর্বর। অতএব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তেলেঙ্গানাকে দেওয়া প্রতিনিধিত্ব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ৮০ সদস্য এবং ৫০ জন বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য রয়েছেন। এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশের দুটি প্রতিনিধিত্ব ছিল - রাজ্য সভাপতি সোম বীররাজু এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কে হরিবাবু। হরিবাবু এখন গভর্নর হয়েছেন। সুতরাং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য কমপক্ষে দুটি নতুন মুখ প্রত্যাশিত ছিল।
যদিও বিজেপি জাতীয় নেতৃত্ব শুধুমাত্র একজনকে বেছে নিয়েছে - কান্না লক্ষ্মীনারায়ণ। তেলেঙ্গানায় চারজন সদস্য রয়েছে, এছাড়া বিজয়সন্থি একজন বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য। লক্ষণীয় তিনজন রাজ্যসভার সাংসদের কাউকেই কোনও পদ দেওয়া হয়নি। সুজানা চৌধুরী, টিজি ভেঙ্কটেশ এবং সিএম রমেশ যাদের রাজ্যসভার মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে, তাদের কোনও পদ দেওয়া হয়নি। আরেক রাজ্যসভার সাংসদ জিভিএল নারসিমহা রাও দলের আর জাতীয় মুখপাত্র নন।
ফলস্বরূপ, অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপি জাতীয় দলে যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত। যদিও জাতীয় দলের সদর দপ্তরের ইনচার্জ রবীন্দ্র রাজু এবং সংসদীয় দলের সচিব কামারসু বালাসুব্রামণ্যম অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তেলুগাস, তাদের ভূমিকা মূলত পর্দার আড়ালে।
No comments:
Post a Comment