শিলিগুড়ি: কলকাতার একটি নার্সিংহোমে গত ২৭শে অক্টোবর প্রয়াত হন শিলিগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা পৌর নিগমের প্রাক্তন মেয়র আশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনে করে কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নিয়ে আসা হয় তাঁর মরদেহ। এরপর সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর বাম দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পৌর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে রত্না দেবীর।
অশোক বাবু বলেন, "আমার ৪১ বছরের জীবনসঙ্গী, আমার জীবনের যে কোনও আন্দোলনের সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি যে আমাকে সাহস যুগিয়েছে, অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার ব্যক্তিগত জীবনে এটা একটা বড় বিপর্যয়।"
বাম নেতা আরও বলেন, "সত্যিকারের যদি ভালো মেয়ে বলতে হয়, আমি কার সঙ্গে তুলনা করছি না, কিন্তু সে একজন সত্যিকারের ভালো, বড় ও উদার মনের মানুষ ছিল। চাকরি করে, সংসার সামলে রাজনীতিটাও করত। কোনও কাজে, কর্তব্যে কখনও অবহেলা করেনি। নিজেকে কখনও মন্ত্রী বা মেয়রের বৌ বলে পরিচয় দিত না, রত্না ভট্টাচার্য বলেই পরিচিত ছিল সে।"
বাম ছাত্র সংগঠন থেকে দলের যুক্ত ছিলেন প্রয়াত রত্না ভট্টাচার্য। এরপর অশোক ভট্টাচার্যের সাথে বিয়ের পর বিভিন্ন কর্মসূচিতে অশোক বাবুর পাশেই দেখা যেত ওনাকে। এদিন বাম-ডান সকলে বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে সহ বেদনা জানান। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে অশোক ভট্টাচার্যকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment